চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় মাথাভাঙ্গা নদীর উপর নির্মিত ব্রীজটি ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে: এমপি আলি আজগার টগরের প্রচেষ্টায় হতে চলেছে ডবল লেনের ব্রীজ॥
হাবিবুর রহমান,চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা সদরের মাথাভাঙ্গা নদীর উপর নির্মিত ব্রীজটি জরাজির্ণ হয়ে পড়েছে। ব্রীজটির দুই পাশ্বের রেলিং কয়েক জায়গায় ভেঙ্গে রড বেরিয়ে গেছে। যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। অবশেষে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগরের প্রচেষ্টায় একই স্থানে নির্মাান হতে ডবল লেনের ব্রীজসহ ফুটপথ, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা–-মুজিবনগর সড়কের দামুড়হুদা সদরের মাথাভাঙ্গা নদীর উপর ১৯৮৭-৮৯ সালে ত্রান ও পূনর্বাসন অধিদপ্তরের অর্থায়নে দামুড়হুদা উপজেলা এলজিইডিইর সহযোগিতায় দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের তত্বাবধানে ব্রীজটি ভিত্তিপ্রস্তর স্থানপন করেন তৎকালীন সরকারের ত্রান ও পূনর্বাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ৭৯ লক্ষ ৩৫হাজার টকা ব্যায়ে নির্মিত ব্রিজটির নির্মান কাজ শেষ হয় ১৯৯০সালে। ঐ বছরই ২৫০ফুট দৈর্ঘ্য ১২ ফুট প্রস্ত ব্রীজটির যানবাহনসহ চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। দামুড়হুদার চিৎলায় রয়েছে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্যকম-প্লক্স, ইব্রাহিমপুর মেহেরুন শিশুপার্ক,শীবনগর ডিসি ইকোপার্ক, আটকবর নামক স্থানে রয়েছে আট শহীদের স্মৃতি স্তম্ভ,¢ কম্প-প্লেক্স ভবন এছাড়াও ঐতিহাসিক মুজিবনগর যে স্থান থেকে দেশ স্বাধীনতার ঘোষনা দেওয়া হয়েছিল ও অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়েছিল।এই এলাকার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র সড়ক। দামুড়হুদা-ভায়া কার্পাসডাঙ্গা, আটকবর, মুজিবনগর যাতায়াতের একমাত্র সড়কের দামুড়হুদা সদরের মাথাভাঙ্গা নদীর উপর নির্মিত ব্রীজটি উপর দিয়ে প্রতিদিন এসকল দর্শনীয় স্থান দেখার জন্য শত শত দর্শনাথী ভারি যান বাহন বাস, ট্রাক, ট্র্যাক্টরসহ বিভিন্ন ধরনের যান ঝুকিপূর্ন ব্রীজটির উপর দিয়ে যাতাযাত করে থাকে । দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও ব্রীজটির মেরামত করা হয়নি। ব্রীজটির দুই ধারের রেলিং এর ঢালাই খসে পড়ে সম্পন্ন রডের উপর দুর্বল রেলিং দাড়িয়ে আছে।এছাড়াও দুই প¦াশের নাম ফলকের স্থানে ভেঙ্গে পড়েছে। ব্রীজের রেলিংএ কোন রকম ছোট খাটো যান বাহনের ধাক্কা লাগলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। চওড়া কম হওয়ায ব্রীজের উপর একটির বেসি বাস ট্র্যাক যাতায়াত করতে পারেনা। ব্রীজটি প্রশস্থ্য না হওয়ায় প্রায়ই এখানে ছোট খাটো দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। একটি ট্র্যাক বা বাস ব্রীজের উপর উঠলে ব্রীজের দুই প¦াশে যান বাহনের লম্বা লাইন দিয়ে দাড়িয়ে থাকতে হয়। ফলে উক্ত স্থানে যেমন যান চলাচলের বিঘœ ঘটে তেমনি প্রারাই ছোট খাটো দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এলাকাবসী ঐস্থানে প¦াসা প¦াসি দুটি বাস অথবা ট্রাক যাতায়াতের মত প্রসস্থ ব্রীজ নির্মানের দাবী জানিয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর,এলাকাবাসীর দাবী ও এলাকার উন্নয়সহ দর্শনীয় স্থানে দর্শনাথৃীদের যাতায়াত ও চিৎলা হাসপাতালের রোগী সাধারনের যাতায়াতের সুবিদার্থে ঐস্থানে নতুন ডবল লেনের ব্রীজ নির্মানের প্রচেষ্টা শুরু করেন। তারই প্রচেষ্টায় একই স্থানে ডবল লেনের নতুন ব্রীজ হতে চলেছে। এব্যাপারে দামুড়হুদা উপ-সহকারী প্রকৌশলী খালিদ হাসান জানান, দামুড়হুদা মাথাভাঙ্গা নদীর উপর নির্মিত ব্রীজটি জরাজীর্ন ও ১২ফুট প্রশস্থ হওয়ায় যানবাহন চলাচলের অসুবিধার কারনে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর এলাকার উন্নয়নসহ এলাকাবাসীর চলাচলের সুবিধার্থে এই ব্রীজটির স্থলে নতুন ডবল লেনের ব্রীজসহ ফুটপথ নির্মানের ব্যাপারে চীফ ইজ্ঞিনিয়ার বরারর ডি ও লেটার প্রদান করেছেন। তারই প্রেক্ষীতে কয়েক বার মাপ ও হয়েছে ডিজাইনের প্রক্রিয়া চলছে। এরই মধ্যে প্রায় সকল কার্যক্রম শেষ হয়েছে। অচিরেই টেন্ডারের মাধ্যমে ব্রীজের নির্মান কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানান।