ঠাকুরগাঁওয়ে অটিষ্টিক শিশুদের বরাদ্দকৃত টাকা ভিন্নখাতে ও ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবহারে অভিযোগ

Thakurgaon_PIC_2
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে পাওয়া অর্থ ঠাকুরগাঁওয়ে অটিষ্টিক শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে ব্যবহার করা কথা থাকলেও সেই অর্থ ভিন্নখাতে ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে জেলা শহরের ফ্রীড অটিষ্টিক মাতৃছায়া শিশু নিকেতনের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। খোজ নিয়ে দেখা গেছে, কয়েক বছর আগে ঠাকুরগাঁও শহরের আটগ্যালারিতে প্রতিষ্ঠিত হয় ফ্রীড অটিষ্টিক মাতৃছায়া শিশু নিকেতন। প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হওয়ার পর বেশ কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও অটিষ্টিক শিশুদের জ্ঞান অর্জনে তেমন কোন ভুমিকা পালন করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। যে প্রতিষ্ঠানে অটিষ্টিক শিশুদের নিয়ে শিক্ষা দেয়া হয় সেই প্রতিষ্ঠানের কোন সাইবোর্ডও মিলেনি। একই প্রতিষ্ঠানে ল’কলেজ, শিক্ষক প্রশিক্ষন কলেজ, হিজড়া উন্নয়ন সংঘসহ কয়েকটি সাইবোর্ড ঝুলিয়ে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। আর এসব সাইনবোর্ডে আদোলে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি অটিষ্টিক শিশুদের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্থ বরাদ্দ নিয়ে খরচ করছে ভিন্নখাতে। এতে শিশুদের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ অনেকের। প্রতিষ্ঠানের সভাপতির তথ্য মতে, ২২৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১১১জন অটিষ্টিক শিশু রয়েছে। আর শিক্ষক, কর্মচারিসহ সব মিলেয়ে রয়েছে ৪১জন। কিন্তু বাস্তবে শিক্ষার্থী ও অটিষ্টিক শিশু রয়েছে অনেক কম। সংশ্লিস্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও জেলা মহিলা লীগের সভাপতি দ্রপোদী দেবী আগরওয়ালাসহ অনেকে জানান, মহিলাদেরকে ভুল বুঝিয়ে ডেকে ফরমে সহি নিয়ে খাওয়া দাওয়া করিয়ে বিদায় করে। আর প্রতিষ্ঠানের নামে জাকজমক অনুষ্ঠান করে নিজের স্বার্থে। তার কারন সে গেল পৌর নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন আবারো হয়তো দাড়াবেন সেকারনে মানুষের সাথে সু-সম্পর্ক রাখছেন। তবে মানুষ তো বুঝে তাই না। কতদিন চলবে এভাবে। শুনেছিলাম জেলা প্রশাসক মুকেশ চন্দ্র বিশ্বাস স্যার নাকি শিশুদের জন্য অটোরিক্সা কিনার জন্য ১লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়েছে। আমি জনপ্রতিনিধি হয়ে খোঁজ নিয়েছি কিন্তু প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। এ ধরনের অনেক টাকাই লোপাট হচ্ছে। আর সেই টাকা দিয়ে অনত্র জমিও কিনেছে সভাপতি বলে জানান তারা। আমরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ বিষয়ে ফ্রীড মাতৃছায় অটিষ্টিক শিশু নিকেতনের সভাপতি তাহমিনা আখতার মোল্লা এক সাক্ষাতকারে বলেন , আমি কোন অনিয়ম করছি না। প্রয়োজনের তাগিদে সব করা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ করছে তারা ভাল কিছু চায় না বলেই এসব কথা ছড়াচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *