একটি মানবিক আবেদন, অবুঝ শিশু রাফিকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন…
এ কিউ রাসেল, গোপালপুর (টাঙ্গাইল): মো. রায়হান রাফি। বয়স সাত মাস। টাঙ্গাইলের গোপালপুর পৌরশহরের সূতী পূর্বপাড়া গ্রামের দিনমজুর পিতা আল আমিন এবং জনম দু:খিনী মা ঋতুর কোল আলো করা একমাত্র সন্তান। অসহায় মা ঋতু আকুতী-মিনতী করে জানান, আমার বাবাটা জন্মের সময় স্বাভাবিক শরীর নিয়েই পৃথিবীতে এসেছিলো। কিন্তু দুই মাস বয়সে হঠাৎই একদিন ওর মাথাটা ফুলা-ফুলা লাগে। আল্লাহর রহমতে ভালো হয়ে যাবে মনে করে প্রথমে কোন ডাক্তার দেখাইনি। কিন্তু আস্তে আস্তে যখন ওর শরীরের তুলনায় মাথাটা বড় হতে লাগলো, তখনই দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। আমাদের অভাবের সংসার, তাই প্রথমে ঘাটাইল সরকারি হাসপাতালে নিয়ে ওকে ডাক্তার দেখাই এবং অনেক কষ্টে টাকা-পয়সা ব্যবস্থা করে ডাক্তারের দেয়া ঔষধপত্রগুলো কিনে খাওয়াই। ঔষধগুলো নিয়মিত খাওয়ানোর পরও মাথা বড় হওয়া না কমায়, আবার একদিন হাসপাতালের ওই ডাক্তারের কাছে ওকে নিয়ে যাই। ডাক্তার একটা টেস্ট করতে দেয়, যা ঢাকায় নিয়ে করাতে হবে।
ছেলের বাবা বেশ কিছু দিন কামলা খেটে টাকা জমিয়ে, ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে নিয়ে ওর মাথার সেই পরীক্ষাটা করাই। কিন্তু টাকার অভাবে আজ দুই মাস হতে চললেও এখন পর্যন্ত সেই টেস্টের রিপোর্টটা ঢাকার ডাক্তারকে দেখানো হয় নাই। এরমধ্যে কিছুদিন প্রতিবেশিদের পরামর্শে হোমিওপ্যাথিক ঔষধও খাওয়ালাম। কিন্তু ভালো না হয়ে বাজানটার মাথার ওজন, এখন ওর শরীরের দ্বিগুন হয়ে গেছে। সারাক্ষন ওর মাথার নিচে হাত রেখে মাথাটা সোজা করে রাখতে হয়। রাতদিন যন্ত্রনায় কান্নাকাটি করে। যা মা হিসেবে ওর এই নিদারুন কষ্টের জীবন, আমি আর সহ্য করতে পারছিনা।
দারিদ্রে জর্জরিত আমাগো সংসার। নিজেদের খাওয়া জোটাতেই যেখানে হিমশিম খেতে হতে হয়, সেখানে সন্তানটারে ভালো চিকিৎসা করানোর মতো আমাদের কোন পথও নাই। তবে আপনাদের লেখালেখির মাধ্যমে যদি সমাজের কিছু দরদী মানুষের সহযোগিতা পাই, তাহলে আল্লাহর রহমতে ভালো চিকিৎসায় আমার কলিজার টুকরা সন্তান ভালো হয়ে উঠবে। আমি একজন অসহায় মা হিসেবে আমার সন্তানের জন্য আপনাদের সাহায্য-সহযোগিতা ও দোয়া চাই।
আসুন, মানব সেবায় অংশ নিয়ে, অবুঝ শিশুটির জন্য সামান্য হলেও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই। অবুঝ শিশু রায়হান রাফির তথ্য ও চিকিৎসায় সাহায্য পাঠাতে যোগাযোগ করুন- মোবাইল : ০১৭৪১৮১৩৭৮৩ (অবুঝ শিশু রায়হান রাফির বাবা মো. আল আমিন)।