খাগড়াছড়িতে পাওনাদারের হাত–পা বেঁধে নদীতে নিক্ষেপ!
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: পাওনা টাকা চাইতে শুক্রবার সন্ধ্যার পর ব্যবসায়ী আমান উল্লাহ (৫২) খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা থেকে দীঘিনালা উপজেলার হাজাছড়া গ্রামে যান। রাত আটটার দিকে গ্রামের রাস্তায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা তাঁকে মারধর করে। পরে তাঁর হাত-পা ও মুখ বেঁধে গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মাইনী নদীতে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। এর পৌনে এক ঘণ্টা পর হাজাছড়া গ্রামের ঘাট থেকে নৌকায় নদী পার হওয়ার সময় কয়েকজন লোক তীরের পাশে কাদার মধ্যে আমান উল্লাহকে পড়ে থাকতে দেখেন। লোকজন ভেবেছিলেন লাশ পড়ে আছে। তাই তাঁকে উদ্ধার না করে তাঁরা প্রথমে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে আমান উল্লাহকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় আমান উল্লাহর ছেলে মো. মোস্তফা বাদী হয়ে শনিবার একজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও চারজনকে আসামি করে দীঘিনালা থানায় মামলা করেন। নাম উল্লেখ করা মো. মমতাজ তাঁর বাবার কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন। শনিবার দুপুরে আমান উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, হাজাছড়া গ্রামের মমতাজ চার বছর আগে বসতবাড়ি বিক্রির দলিল জমা দিয়ে তাঁর কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ধার নেন। মঙ্গলবার পাওনা টাকা চাইতে তিনি হাজাছড়া গ্রামে যান। তাঁকে মারধর করে প্রথমে জমির দলিলটি কেড়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। পরে মুখ ও হাত–পা বেঁধে দুর্বৃত্তরা নদীতে ছুড়ে ফলে দিলেও সৌভাগ্যবশত তিনি পানিতে না পড়ে কাদার মধ্যে পড়েন। অন্ধকার থাকায় তিনি হামলাকারীদের চিনতে পারেননি। এ বিষয়ে দীঘিনালা থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) ফয়জুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, অন্ধকার থাকায় যারা ফেলে দিয়েছিল, তারা বুঝতে পারেনি আমান উল্লাহ নদীর তীরে কাদার মধ্যে পড়েছেন। এ কারণে তিনি প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি