সনদ জালিয়াতির অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা বরখাস্ত

index
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: সনদ জালিয়াতিসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বহিষ্কৃত ওই কর্মকর্তার নাম মো. আমিনুল ইসলাম। তিনি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে সেকশন অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ৩০ এপ্রিল উপাচার্যের আদেশে আমিনুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় অন্য কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাঁদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান তাঁর স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের গোটা প্রশাসনিক কার্যক্রমকে অস্থিতিশীল করার জন্য বেনামি চিঠি, অফিসে বসে সুদের ব্যবসায়, অন্যান্য অসামাজিক কাজ এবং সনদ জালিয়াত চক্রের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকায় উপাচার্যের আদেশে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’ পরীক্ষা কার্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, বরখাস্তের আগে আমিনুল ইসলামের কার্যালয়ে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকার ব্যাংক লেনদেনের রসিদ, ঋণ দেওয়ার অঙ্গীকারনামা, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিসহ সাতজনের জীবনবৃত্তান্ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি মূল সনদ ও কয়েকটি ফটোকপি জব্দ করা হয়। সূত্রটি নাম প্রকাশ না করার শর্তে অপরাধ তথ্যচিত্রকে জানায়, ২০১৫ সালে একই অভিযোগে আরও তিনজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলাও হয়। যোগাযোগ করা হলে মো. আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বরখাস্তের চিঠি আমি পেয়েছি। কিন্তু আমি এ ধরনের কোনো অভিযোগের সঙ্গেই জড়িত নই। গত ১৭ বছরের চাকরি জীবনে আমাকে কোনো ব্যাপারে কারণ দর্শাতে পর্যন্ত হয়নি। কিন্তু এখন কেন এ ধরনের অভিযোগ আসছে, আমি জানি না। আমি তদন্ত কমিটির কাছে যাব। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে শাস্তি মাথা পেতে নেব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *