ঝিনাইদহ-মাগুরা সম্মিলিত মহাবিদ্যালয়ের ঘুষ নিয়ে সনদ জালিয়াতিকারির চাকুরী

66(1)
লালন মণ্ডল,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঘুষ নিয়ে চাকুরী হয় শুনেছি অনেকের। কিন্ত সার্টিফিকেট জাল তাহা জানার পর ঘুষ ও আত্মীয়র কারনে চাকুরী হয় এমনটি সম্ভবত প্রথম ঘটনা। শুধু তাই নয় অনেকের প্রতিষ্ঠানে প্রোমশন করায়ে দেবে বলে ঘুষ নিয়েছে। তার দুর্দান্ত ক্ষমতার দাপটে তিনি যা বলেছেন তাই অবনত হয়ে সবাই মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে এক কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে। ঘটনাটা ঘটেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ফুরসন্দি ইউনিয়নের সীমান্ত টিকারি গ্রামে অবস্থিত ঝিনাইদহ-মাগুরা সম্মিলিত মহাবিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সিকদার ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ফিরোজ আলমের বিরুদ্ধে। শহিদুল ইসলাম সিকদার ছিল ফুরসন্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেই সুত্র ধরেই ঝিনাইদহ-মাগুরা সম্মিলিত মহাবিদ্যালয়ের সভাপতির পদটি দখল করে। সভাপতি তার ক্ষমতা বলে নিয়োগ বানিজ্য করে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয় বলে জনশ্রুতি আছে। শুধু তাই নয় নিজ আত্মীয় স্বজন সহ সার্টিফিকেট নাই জাল সার্টিফিকেট তৈরি করে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে নিজ ভাইপোকে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। অত্র প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক দেখা যায় যে ১২/০২/২০১৫ তারিখে অত্র প্রতিষ্ঠানে প্রভাষক তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির শূন্য পদে নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয় এবং একই নিয়োগের সিদ্ধান্ত ১৫/০৯/২০১৫ তারিখে আবার চতুর্থ বারের মত সিদ্ধান্ত হয়ে ঐ বছরের অক্টোবর মাসের ১৪ তারিখে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তাতে বলা হয় যে ২৯ অক্টোবরের মধ্যে আবেদন জমা দিতে হবে।বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক কে এম সাজেদুল ইসলাম মিটু, এস এম মোনোয়ার হোসাইন সুমন ও খন্দকার রোকনুজ্জামান নামের ৩ জন আবেদন পত্র জমা দেন। কিন্ত জানা যায় তারমধ্যে এস এম মোনোয়ার হোসাইন সুমন অসামাপ্ত আবেদন জমা দেন অর্থাৎ আবেদন পত্র জমা দেওয়ার ১১ দিন পর ৯ ই নভেম্বর ১২ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। সেখানে দেখান হয়েছে যে ১২ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার সনদ জমা দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার আগে পরীক্ষার সার্টিফিকেট জমা অন্যন্যদের মাঝে সন্দেহ দেখা দেয়। জানা যায় এস এম মোনোয়ার হোসাইন সুমন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার টিকারি গ্রামের আবু বক্কার সিদ্দিকের ছেলে। এই বিষয়ে সন্দেহে হলে কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব নিবন্ধন কমিটি বরাবর জানতে চাইলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যায়ন কর্তৃপক্ষ ২৭/০৮/২০১৬ ও ২৭/০৩/২০১৭ তারিখে কলেজ কর্তৃপক্ষ কে জানায় যে এস এম মোনোয়ার হোসাইন সুমনের প্রভাষক কম্পিউটার ২০১৪১১০২১৮৩৯/২০১৫ রেজিঃ রোল ৪৩১০৪৫৬৪ টি সঠিক নহে। এই চিঠি কলেজে ডাকে পাঠান হয়। তার মধ্যে এস এম মোনোয়ার হোসাইন সুমন অন্য একটি চিঠি হাতে কলেজে জমা দেয় তাতে লেখা আছে যে ২০১৪১১০২১৮৩৯/২০১৫ রেজিঃ রোল ৪৩১০৪৫৬৪ টি সঠিক কিন্ত ডাকে পাঠান পত্রের সাথে হাতে জমা দেওয়া পত্রের সহকারী পরিচালক লোকমান হোসের স্বাক্ষরের মিল নেই। এই ঘটনা জানার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ এস এম মোনোয়ার হোসাইন সুমনের নিকট প্রকৃত ঘটনা জানতে চেয়ে চিঠি দিয়ে কোন জবাব পাইনি। জবাব না পাওয়ার পর ও কলেজ তার বিরুদ্ধে কোন আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। কারন হিসাবে জানা গেছে এস এম মোনোয়ার হোসাইন সুমন ঝিনাইদহ-মাগুরা সম্মিলিত মহাবিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সিকদার ভাইপো জার কারনে কলেজ কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেইনি। কলেজে শহিদুল ইসলাম সিকদার একক সিদ্ধান্তে নিয়োগ দিয়েছে। যার কারনে নিয়োগ মিটিং এ শিক্ষক প্রতিনিধি কোন স্বাক্ষর করেনি। মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি ওয়াহিদা খাতুন জানায় আমারা চাকুরী করি তারপর ও তার অসম্পূর্ণ আবেদনের পর ও সদন নিয়ে সন্দেহ হওয়ার পর নিয়োগ কমিটির মিটিং এ আমি স্বাক্ষর করিনি। তারপরে সভাপতি আমাদের উপর জোর করে চাপায়ে দেয়। ঝিনাইদহ-মাগুরা সম্মিলিত মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন জানান আমি যাহা করেছি তাহা সভাপতির কথা মত করেছি। যদি আমি তার কথা না মানতাম তাহলে সে আমাকে কলেজের চাকুরী থেকে বাদ দিয়ে দিত। তাই আমি চাকুরী বাঁচানর স্বার্থে সভাপতির কথা মানতে বাধ্য হয়েছে। তারপর ও সনদ জাল জানার পর তাকে নিয়োগ পত্র দেয় নি। সে এক প্রকার জোর করেই কলেজে আসে। প্রতিটি নিয়োগ প্রতি সভাপতি কত লক্ষ করে টাকা নিয়েছে তাহা সভাপতি অবগত আছে। কলেজের ফাণ্ডে একটি টাকা ও জমা দেয়নি। ঝিনাইদহ-মাগুরা সম্মিলিত মহাবিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি অ্যাডঃ আব্দুল মালেক মিনা বলেন জাল সনদ ধরা পড়েছে যাহা সাবেক সভাপতি তার নিজ ক্ষমতা বলে এই সনদ জালিয়াতির নিয়োগ করেছে। আমি এর আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। উল্লেখ নতুন সভাপতি কলেজের দায়িত্ব ভাব গ্রহণ করার পর সনদ জালিয়াতির ঘটনা সকলের সামনে বেরিয়ে আসে।তাছাড়া জানা যায় যে প্রতিটি নিয়োগ থেকে সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম সিকদার ও ফিরোজ আলম মিলে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা নিয়াছে। যাহা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে।সে ক্ষেত্রে এই সনদ জালিয়াতি কারির নিকট থেকে কত লক্ষ টাকা নিয়ে তাকে কলেজের প্রভাষক হিসাবে নিয়োগ দিয়েছে তাহা এই এলাকার সাধারন জনগনের মুখে মুখে। এলাকাবাসীর দাবী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই প্রকৃতির জালিয়াতকারি ও তার সহযোগীদের আইনের কাঠগড়ায় হাজির করে উপযুক্ত শাস্তি দাবি শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান। এই প্রসঙ্গে সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম সিকদার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন আমি এই ধরনের কোন শিক্ষক নিয়োগ দেয়নি বা জানি না। কলেজের অধ্যক্ষ জানে যাহা কিছু করেছে কলেজের অধ্যক্ষ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *