দুর্নীতির অভিযোগে মাগুরার শ্রীপুরে ইউনিয়ন পরিষদে ভাংচুর
মাগুরা প্রতিনিধি: চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দর্নীতির অভিযোগ এনে দুই মহিলা মেম্বারের ছেলের নেতৃত্বে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার ৫ নং কাদিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে ভাংচুর করা হয়েছে। রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। কাদিরপাড়া ইউনয়নের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার দিন দুপুর ১২ টার দিকে ১৫/১৬ জন যুবক ইউনিয়ন পরিষদে এসে তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। এ সময় তাকে না পেয়ে তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তার অফিস কক্ষে ভাংচুর চালায়। চেয়ারম্যান লিয়াকত জানান, কাদিরপাড়া ইউনিয়ন শাখা আওয়ামীলীগের সভাপতি পরেশ চন্দ্র রাহুত-এর ইন্ধণে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ঘটনার প্রত্যক্ষ্যদর্শি কাদিরপাড়া ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ (দফাদার) দিপঙ্কর কুমার মন্ডল বলেন, দুই ইউপি সদস্য মনোয়ারা বেগমের ছেলে মিনার এবং সাহিদা বেগমের ছেলে সাহিদুলের নেতৃত্বে ৬ টি মটর সাইকেল করে এসে ১৫/১৬ জন যুবক ভাংচুর চালায়। কাদিরপাড়া ইউপি সদস্য জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে ভাংচুর করার পূর্বে ঘটনার সাথে জড়িত যুবকেরা তার বাড়িতে যাওয়ার পথে তাকে রাস্তায় পেয়ে গালিগালাচ করে এবং চেয়ারম্যানকে কর্মসূচি থেকে আত্বসাৎ করা টাকা ফিরিয়ে দিতে বলে। এ বিষয়ে কাদিরপাড়া ইিউনিয়নের মহিলা সদস্য মনোয়ারা বেগম বলেন, কর্মসৃজন প্রকল্প সহ বিভিন্ন কাজে চেয়ারম্যান অনেক অনিয়ম করেছে। এসব অনিয়ম সমর্থন না করার জন্য চেয়ারম্যান তাদের পরিষদে ঢুকতে দিচ্ছে না। তিনি ঘটনার সাথে তার ছেলের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন। জানতে চাওয়া হলে কাদিরপাড়া ইউনিয়ন শাখা আওয়ামীলীগের সভাপতি পরেশ চন্দ্র রাহুত সমকালকে বলেন, ১৫/১৬ দিন পূর্বে শেষ হওয়া ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পে চেয়ারম্যান অনিয়ম করে অনেক টাকা আত্বসাৎ করেছেন। এছাড়াও এক থেকে দেড় লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে পরিষদে তিনজন চৌকিদার নিয়োগ দিয়েছেন। এরপর ৪/৫ হাজার টাকার বিনিময়ে গরীব-দুস্থদের বাদ দিয়ে নিজের পছন্দের লোকজনকে ভিজিডি, বয়স্ক ও বিধবা কার্ড করে দিয়েছেন। এসব অনিয়মের ও দুর্নিতীর কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে সাধারণ লোকজন ইউনিয়ন পরিষদে প্রতিবাদ জানাতে গিয়েছিল। তবে ভাংচুর করার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। জানতে চাওয়া হলে চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী বিশ্বাস তার বিরুদ্ধে উথ্বাপিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ষড়যন্ত্র করে তাকে বেকায়দায় ফেলতে এসব বানোয়াট অভিযোগ করা হচ্ছে। ভাংচুরের বিষয়ে শ্রীপুর থানায় গতকাল রোববার বিকেলে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানানিয়েছেন।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ওসি(তদন্ত) মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, ইউনিয়ন শাখা আওয়ামীলীগের সভাপতির সাথে চেয়ারম্যানের দ্বন্দের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষের টেবিলের গ্লাস ভাংচুর করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
বিকাশ বাছাড়
৩০/০৪/২০১৭