সুরমা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে- ছাতকে দু’উপজেলার ২০হাজার লোকের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ
নাজমুল ইসলাম, ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: ছাতকে দু’উপজেলার প্রায় ২০সহস্রাধিক লোকের যাতায়াত ব্যবস্থার সর্বশেষ অবলম্বনটুকুও সুরমার ভয়াবহ ভাঙ্গনে তলিয়ে গেছে। ছাতক-মুক্তিরগাঁও-শিমুলতলা-পীরপুর সড়ক দিয়ে ছাতক ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের লোকজন যাতায়াত করেন। কিন্তু ২০১৬সালের ২০আগষ্ট থেকে প্রায় ৭কিলোমিটার রাস্তার মুক্তিরগাঁও এলাকায় পাকা সড়কটি নদী ভাঙ্গনে তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে কোম্পানীগঞ্জের তেলিখালও ইছাকলস ইউনিয়নসহ ছাতকের কালারুকা ইউনিয়নের মুক্তিরগাঁও আটগ্রামের প্রায় ২০সহস্রাধিক লোক যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম দূর্ভোগে পড়েন। এরপর যানবাহন ছাড়াই সহস্রাধিক বালু ভর্তি বস্তা ফেলে পায়ে হেঁেট চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু এলাকাবাসির উদ্যোগে দেয়া এসব বালু ভর্তি বস্তা অল্প দিনেই সড়কের পাকা স্ল্যাব, বসতবা, বাঁশ ঝাড়সহ প্রায় ৫শ’ফুট নীচে তলিয়ে যায়। পরে ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় দেয়া হয় বাঁশের ব্রিজ। কিন্তু এটিও গত ২২এপ্রিল পানির নীচে তলিয়ে গেছে। ফলে এলাকাবাাসির সর্বশেষ অবলম্বনটুকুও পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়রা। স্কুল কলেজ ও মাদরাসাগামি ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়া এখন বন্ধের উপক্রম হয়ে পড়ে। শুধু সড়ক নয় সুরমা নদীর ভাঙ্গনে তলিয়ে গেছে মুক্তিরগাঁও, শিমুলতলা, হরিশপুর, পীরপুর, গৌরীপুর, রামপুর, সিকন্দরপুর, উজিরপুর, নূরুল্লাপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৫শতাধিক বসতবাড়ি ও বিভিন্ন প্রতিষ্টান। আরো নদী ভাঙ্গনের আশংকায় প্রহর গুনছেন আরো অসংখ্য পরিবার। এসড়কে মুক্তিরগাঁও, শিমুলতলা, হরিশপুর, রংপুর, নানশ্রী, পীরপুর, গৌরীপুরও মিত্রগাঁওসহ দু’উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের লোকজন যাতায়াত করছেন। এব্যাপারে কালারুকা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিরগাঁও নিবাসী নজরুল হক, সাবেক মেম্বার নূরুল হক, আব্দুল মতিন, আরশ আলী, নূরুল ইসলাম, বর্তমান মেম্বার ফজলু মিয়া, আব্দুল মুকিত, সদস্য ফুলেছা বেগম, ব্যবসায়ি মনোহর আলী, সাজিদুর রহমান, আরব আলী, ভূতু দাস, জওহর লাল দাস, সফিক মিয়া, আব্দুস সালামসহ এলাকার গন্যমান্য লোকজন জানান, তাদের সর্বশেষ অবলম্বনও টুকুও এখন ভেস্তে যেতে বসেছে।ফলে এখন থেকে পাঁেয় হেটেও চলাচল করা যাচ্ছেনা।