জামালপুরের ইসলামপুরে ধানের ক্ষেতে নেক ব্লাস্ট ও পাতা পোড়া রোগ,কৃষকরা দিশেহারা
ওসমান হারুনী,জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরের ইসলামপুরে ধানের ক্ষেতে ব্লাস্ট ও পাতা পোড়া রোগ দেখা দেওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে,এবার ইসলামপুর উপজেলায় ১৭হাজার ৯শত হেক্টর জমিতে বোর আবাদ করা হয়েছে। তন্মধ্যে সরকারি হিসাবে নেক ব্লাস্ট রোগে ৩০হেক্টর জমির ২৮ জাতের ফসল নষ্ট হয়েছে। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে প্রকৃত এ ক্ষতির পরিমান আরো বেশি হবে। এছাড়া ধান ক্ষেতে দেখা দিয়েছে পাতা পোড়া রোগ। ফসল ঘরে তোমার আগমুহূর্তে এই রোগ দেখা দেওয়ায় চাষিরা হয়ে পড়েছেন দিশেহারা। উপজেলার পৌর এলাকার টংগের আলগা, নটারকান্দা, চরগাওকুড়া,সরদারপাড়াসহ উপজেলায় সদর ইউনিয়ন,চরপুটিমারী,গোয়াললেচর,চরগোয়ালীনি,গাইবান্ধা ও পলবান্ধা ও পাথর্শী ইউনিয়নের ২৮জাতে ধানে এই রোগ দেখা দিয়েছে। এসব ইউনিয়নে নেক ব্লাস্ট রোগের অনেক ফসলী জমির ধানের শীষ শুকিয়ে যাচ্ছে। দূর থেকে মনে হচ্ছে ধান সব পেকে গেছে। কাছে গিয়ে ধানের শীষ হাতে নিলেই বোঝা যাচ্ছে সব ধান চিটা হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে ইসলামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মতিউর রহমান জানান নেক ব্লাস্ট ধানের একটি ছত্রাকজনিত রোগ,ধানের গোড়ায় রোগটি পরিলক্ষিত হয়। শীষের গোড়ায় বাদামী অথবা দাগ পড়ে। শীষের গোড়া ছাড়াও যে কোন শাখা আক্রান্ত হতে পারে। ধান পুষ্ট হওয়ার আগে আক্রান্ত হলে শীষের ধান চিটা হয়ে যায়। তিনি আরো জানান,যেসব জমির ধান নেক ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়নি। অথচ উক্ত এলাকার ব্লাস্ট রোগের অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করছে অথবা ইতোমধ্যেই কিছু স্পর্শকাতর আগাম জাতের এ রোগের আক্রমন লক্ষ করা গেছে,সেখানে ধানের থোড় অবস্থার শেষ পর্যায়ে একবার এবং ধানের শীষ বের হওয়ার সাথে সাথেই দ্বিতীয়বার ছত্রাক নাশক যেমন ট্রপার(৫৪ গ্রাম/বিঘা) অথবা নেটিভো(৩৩গ্রাম/িবঘা) শেষ বিকালে নির্ধারিত মাত্রায় স্প্রে করতে হবে। এ ব্যাপারে কৃষকদের মাঝে ধানের নেক ব্লাস্ট রোগে করণীয় সম্পর্কে লিফলেট তৈরী করে সচেতন করাসহ প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।