ঠাকুরগাঁওয়ে রাস্তা পাঁকাকরণে ব্যাপক অনিয়ম জনপ্রতিনিধিদের ক্ষোভ ॥ নিশ্চুপ এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ার
সৈয়দ আবদুল করিম, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে রাস্তা পাঁকাকরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এতে স্থানীয় এলাকাবাসিসহ জনপ্রতিনিধিদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করলেও অজ্ঞাত কারনে নিশ্চুপ উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা। তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
ঠাকুরগাঁও সদর বেগুনবাড়ি ইউনিয়নে ছোট খোঁচাবাড়ি থেকে বেগুনবাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৬বছর ধরে পরে থাকা ভাঙ্গাচুর রাস্তা পাঁকা করণের কাজ শুরু হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওই কাজে ব্যাপক অনিয়ম করে আসলেও যেন দেখার কেউ নেই। নিয়ম না মেনে ধুলা বালির উপরেই করা হচ্ছে কার্পেটিং। নতুন করে সিলকোট করার কথা থাকলেও রাস্তার খাল ধন্দতে পুরোনো বিটুমিনযুক্ত পাথরের উপড় আবার বেশিরভাগ জায়গায় সিলকোট ছাড়াই করা হচ্ছে কার্পেটিং। এমন অনিয়ম যেনো নিয়মে পরিনত হয়েছে। রাস্তা পাঁকাকরণে স্থানীয় এলাকাবাসি ও জনপ্রতিনিধিরা অনিয়ম ঠেকাতে গেলে উল্টো তাদের হয়রানীর শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলরের।
বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের বোচাপুখুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মতিয়ার রহমান, ইউনিয়ন আ’লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এমাজ উদ্দিনসহ স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ দিন পর এই রাস্তাটি নতুন করে পাঁকা করা হচ্ছে। কিন্তু যেভাবে রাস্তা পাঁকাকরণে অনিয়ম করা হচ্ছে তার প্রতিবাদ করতে গেলে আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয় ঠিকাদারের লোকজন। আর ৬-৭ দিন ধরে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার কাজ দেখতে আসেন নি। ঠিক তখন ঠিকাদেরর লোকজন দ্রুতগতিতে কাজ এগিয়ে যান। নিশ্চই উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের সাথে ঠিকাদারের যোগশাজস রয়েছে। তা না হলে ঠিকভাবে কাজের তদারকি করেন না কেনো।
ওই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল্লা আল মাসুদ জানান, রাম বাবু বড় ঠিকাদার অনেক টাকার মালিক এর আগে অনিয়মের অভিযোগে স্থানীয়রা একটি কাজ আটকে দিলে উল্টো তার কাছেই নত শিকার হতে হয়েছে। আমরা চাই আপনাদের রিপোর্টের মাধ্যমে সঠিক তদন্ত করে কাজ শতভাগ নিশ্চিত করবেন এটাই আমাদের চাওয়া। এরই মধ্যে বেগুনবাড়ির এই রাস্তার কিছু অংশ রোমান নামে ঠিকাদার কাজ করেছেন। বাকিটুকু করছেন রাম বাবু কিন্তু অন্য প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে। গোটা রাস্তাটা অনিয়মের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে। আমরা এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রনালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
আর সদর উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার নুরুজ্জামান সরদার জানান, হরিরাম ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫ কিলোমিটার পুরাতন রাস্তা সংস্কারের কাজ করছে। আমার চোঁখে এখনো অনিয়ম ধরা পরে নি।
এ বিষয়ে জেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী কান্তেশ্বর বর্মন জানান, আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।