ক্ষমতার অপব্যবহার সামান্যে চৌকিদার হয়ে, মানছেনা কাউকে…
মোঃ মানসুর রহমান জাহিদ (বিভাগীয় প্রতিনিধি, খুলনা)ঃ
খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার ৭নং গদাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার বিমল কৃষ্ণরায় বর্তমানে নিজেই আইন পাশ
করছেন। মানছেননা কাউকে, গত ১২/০৪/২০১৭ ইং তারিখ রাতে মনিরামপুর উপজেলা হতে দুই বহিরাগত ব্যক্তি গদাইপুর
ইউনিয়নের কোন এক ওয়ার্ডে একটি বিবাহ সংক্রান্ত ব্যাপারে আসে। আশার পর দেখা যায় যে, এটি বাল্যবিবাহের আওতায়
পড়ে। ঘটনাটি কেহ না কেহ সাথে সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহেবকে জানায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহেব ঘটনাটি
জানতে পেরে ৭নং গদাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী জুনাইদুর রহমানকে মোবাইলে জানায় যে, উক্ত ব্যক্তিদ্বয়কে তার
হিফাজতে রাখার জন্য। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে চেয়ারম্যান সাহেব সাথে সাথে অত্র ওয়ার্ডের মেস্বার ও চৌকিদারকে
উক্ত ব্যক্তিদ্বয়কে ইউনিয়ন পরিষদে আনার জন্য নির্দেশ দেন। তাহার নির্দেশ মোতাবেক সাথে সাথে উক্ত ওয়ার্ডের মেস্বার সহ
চৌকিদার উক্ত দুই ব্যক্তিকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসে এবং চেয়ারম্যান সাহেবকে জানিয়ে দেওয়া হয়। জানানোর পর
চেয়ারম্যান সাহেবের নির্দেশ মোতাবেক উক্ত ওয়ার্ডের মেম্বার ও চৌকিদার বহিরাগত দুই ব্যক্তিকে রাত্রিযাপনের জন্য পরিষদের
একটি রুমে তালা বন্ধ করে রেখে দেয়। পরবর্তী চেয়ারম্যান সাহেব বলেন সকালে পরিষদে এসে সকলকে নিয়ে বিষয়টা
সমাধান দেওয়ার চেষ্ঠা করবো, নতুবা তাহাদেরকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে প্রেরণ করবো। ইতি মধ্যে পরদিন সকাল
আনুমানিক ৭ টারদিকে, অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার বিমল কৃষ্ণ রায় ইউনিয়ন পরিষদে আসে। এবং বহিরাদ্বয় ২ ব্যক্তির
মধ্যে একজনকে তালাখুলে বের করে মোটা লাঠিদ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দায় ফেলে নির্মমভবে মারধর করতে থাকে।
মারধরের ফলে উক্ত ব্যক্তিটি বারান্দার ফ্লোরে গড়াগড়ি করতে থাকে এবং তার পা জড়িয়ে ধরে প্রাণ ভিক্ষার জন্য কানুতি মিনতি
করতে থাকে। তারপরেও এই নিষ্ঠুর চৌকিদার তাকে না ছেড়ে মারধর চালিয়ে যেতেই থাকে। তার চিৎকারে ইউনিয়ন পরিষদ
সংলগ্ন হারুনের চায়ের দোকান হতে লোকজন বের হয়ে এসে তাকে বাধা দেয়। উক্ত চৌকিদারকে আন্তজার্তিক মানবাধিকার ও
দুর্নীতি বিরোধী সোসাইটির তদন্ত কর্মকর্তা ও জাতীয় অপরাধ তথ্য চিত্র পত্রিকার ষ্টাফ রিপটার শেখ রবিউল ইসলাম এবং
জাতীয় অপরাধ তথ্যচিত্র পত্রিকার খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি, চৌকিদারকে প্রশ্ন করে যে, কার অনুমতি পেয়ে আপনি এভাবে
উক্ত ব্যক্তিকে মারধর করছেন ? উত্তরে সে তাহাদের কে বিভিন্ন আজে বাজে গালি-গালাজ করে অপমানিত করে। সবার সামনে
সে বলতে থাকে আমি সরকারি লোক এখানে আমি যা আইন করবো তাই হবে। আমি কাউকে মানিনা মানবো না, যার যত
ক্ষমতা আছে পারলে দেখিয়ে দাও। এভাবেই এই চৌকিদার তার ক্ষমতার গরমে বিভিন্ন সাধারন মানুষের কাছে মামলার ভয়
ভিতি দেখিয়েও অনেক অবৈধ টাকা গ্রহণ করেছে বলেও জানা যায়। উক্ত ঘটনায় এলাকার সাধারণ জনগন ছাড়াও সেখানে
উপস্থিত ছিল, ওয়ার্ড মেম্বার গাজী জবেদ আলী সাহেব, ইউ.পি বিবাহ রেজিষ্টারক কাজি আহম্মদুল্লাহ সরকার সাহবে, ইউনিয়ন
পরিষদের কর্মরত জামাল সাহেব ও উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার সাহেব। তারাও তাকে মারধর করতে বাধা দিলে
তাদেরকে কাউকে না মেনে বিভিন্ন বাজে কথা বাত্রা বলতে থাকে। এবং জাতীয় অপরাধ তথ্যচিত্র প্রত্রিকার নামে ভন্ড ভাষায়
গালি-গালাজ করতে থাকে। উপস্থিত মান্যগন্য ব্যক্তিবর্গদের নিষেধ করা সত্বেও এই নিষ্ঠুর চৌকিদার বিনা অনুমতিতে তার
নিজস্ব আইনে উক্ত ব্যক্তিকে নির্মম ভাবে মারধর করতে থাকে। (চলবে)