সিলেট ডিআইজি বরাবরে আবেদন- ছাতকে অব্যাহত নির্যাতন থেকে মুক্তির দাবি এককলেজ ছাত্রীর

CHHATAK
নাজমুল ইসলাম, ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: ছাতকে মাতা-পিতাসহ পরিবারের সদস্যদের অমানবিক নির্যাতন-নিপীড়নে অতিষ্ট হয়ে অষ্টাদশী এক মেধাবী কলেজ ছাত্রী সিলেট ডিআইজি বরাবরে সাহায্যের আবেদন করেছে। নিজের স্বামী ত্যাগ করে মাতা-পিতার পছন্দের স্বামী গ্রহণ না করায় তার উপর এ অত্যাচার নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে দাবি করা হয়। সে ছাতকের কালারুকা ইউনিয়নের করছখালী গ্রামের আব্দুল আহাদের পুত্র লালা মিয়া মেয়ে। লিখিত আবেদনে বলা হয়, সিলেট কমার্স কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ফারহীন আক্তার উর্র্মির (১৯) স্বামী সেবুল আহমদকে ত্যাগ করে পিতা-মাতার পছন্দের ব্যক্তিকে স্বামী হিসেবে গ্রহণ না করায় তার উপর দীর্ঘদিন থেকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এরমধ্যে একাধিকবার তাদের পছন্দের ব্যক্তির কাছে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু তাদের এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে সে তীব্র প্রতিবাদি হয়ে উঠে। সে পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষনা করে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় যে, সে কখনোই তার স্বামী সেবুলকে ত্যাগ করে পিতা-মাতার পছন্দের ব্যক্তিকে বিয়ে করবেনা। একারনেই কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী উর্র্মির এখন লেখাপড়া বন্ধের উপক্রম। নিজের লেখাপড়া অব্যাহত রাখাসহ নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে রেহাই পেতে সে ডিআইজি বরাবরে এ আবেদন করে। জানা গেছে, গত ১৬ফেব্রুয়ারি কলেজ ছাত্রী উর্মির সাথে একই গ্রামের ছিদ্দেক আলীর পুত্র সেবুল আহমদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর মাতা-পিতাসহ পরিবারের লোকজন এবিয়ে মেনে নিতে রাজি হয়নি। পরে গোপনে স্বামী সেবুলসহ তাদের আত্মীয়-স্বজনদের উপর সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি হয়রানীমূলক মামলা (নং ৩০, তাং ২১.০২.২০১৭ইং) দায়ের করেন। এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্যে ডিআইজি মহোদয় বরাবরে মানবিক সাহায্যের এ লিখিত আবেদন করেছে স্কুল ছাত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *