মোরেলগঞ্জে পানগুছি নদীতে দেড়শ’ যাত্রী নিয়ে ট্রলার ডুবি, নিহত ৪ নারীর লাশ উদ্ধার নিখোঁজ ১৫, উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে নৌ বাহিনীর ডুবুরি দল
এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির,(বাগেরহাট): বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পানগুছি নদীতে একটি যাত্রীবাহি খেয়া ট্রলার ডুবে ৩ নারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০জন। গুরুতর আহত অবস্থায় ৫জনকে খুলনায় স্থান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরো ১৫জন নিখোঁজ আছে। নিখোঁজদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস, কোষ্টগার্ড, থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা কাজ করছেন। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে পানগুছি নদীতে এ ঘটনা ঘটে। বেলা ১১টায় নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী জাহাজ তাদের ডুবুরি দল নিয়ে উদ্ধার কাজে যোগ দেয়। আহত যাত্রীরা জানান, ঘটনার সময় নৌবাহিনীর একটি জাহাজ (পি-৩১২) দ্রুতগতিতে চালিয়ে গেলে এর তুফানে ট্রলারটি উল্টে যায়। ট্রলারে কমপক্ষে দেড়শ’ যাত্রী ছিলো। এদের মধ্যে নিহত ৩ নারী হচ্ছেন, কালিকাবাড়ি গ্রামের মহসিন হোসেনের স্ত্রী বিউটি বেগম(৩৮), গুয়াবাড়িয়া গ্রামের হাসেম হাওলাদারের স্ত্রী পিয়ারা বানু(৫০) ও চিংড়াখালী গ্রামের মৃত ইউনুস আলীর স্ত্রী সুফিয়া বেগম(৭৫)। এই ঘটনার খবর পেয়ে মোংলাগামী নৌ বাহিনীর ওই জাহাজটি কিছুক্ষনের মধ্যেই ঘটনাস্থলে ফিরে আসে। আশংকাজনক অবস্থায় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রেবেকা খাতুন(৪৮), খাদিজা বেগম(৪০), সাবেক পুলিশ সদস্য মো. শাজাহান তালুকদার(৬৫), আবুল খায়ের খোকা(৫৫) কে খুলনায় স্থান্তর করা হয়েছে। মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি আছেন ফুলহাতা গ্রামের নাসিমা বেগম(৩০) ও তার ২ বছরের শিশুপূত্র। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাশেদুল আলম, ফায়ার সাভিসের মোরেলগঞ্জ ষ্টেশন কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী ও উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের নিকট থেকে পাওয়া তথ্যমতে নাজমুল(৭), রাহাত(১০), আনছার হাওলাদার(৩৮), মোশারেফ হাওলাদার(৫০), সুলতান হাওলঅদার(৪২), হাসিব(৬), নাদিরা আক্তার(১৭), সালমা বেগম(৩০), সাজ্জাদ(২), লাবনী আক্তকার(৭) ও পরিবার পরিকল্পনা মোরেলগঞ্জ অফিসের অফিস সহায়ক মো. রফিক এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।