কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরে স্ত্রীর গায়ে আগুন দিয়েছে পাষন্ড স্বামী, ঝলসে গেছে শরীর
এ,এইচ,লেলিন (কুষ্টিয়া ): কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রিফায়েতপুর এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীর গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে পাষন্ড স্বামী ও তার স্বজনরা। আগুনে ঝলসে যাওয়া চাঁদনী আক্তার (১৯) নামে ওই গৃহবধূ দৌলতপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করলেও পাষন্ড স্বামী মনির এখনো পলাতক রয়েছে। জানা যায়, উপজেলার আড়িয়া চা বিক্রেতা কামরুল ইসলামের মেয়ে চাঁদনী আক্তারের সাথে ৯ মাস আগে পাশ্ববর্তী তেলিগাংদিয়া গ্রামের ইউনুস শেখের ছেলে মৌসুমী ব্যবসায়ী মনিরের বিয়ে হয়। চাঁদনীর বাবা কামরুল ইসলাম জানান, বিয়ের পর থেকে জামাই মনির ও তার বাড়ির লোকজন কারণে-অকারেণে তার মেয়েকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছে। এর এক পর্যায়ে মঙ্গলবার রাতে চাঁদনীর সাথে কথা কাটাকাটির জের ধরে স্বামী মনির তার শাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সময় চাঁদনী আগুন নেভানোর চেষ্টা করলে মনির ও তার বাড়ির লোকজন তাকে দরজা বন্ধ করে ভেতরে আটকে রাখে। চাঁদনীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসপাতালে পাঠায়। এ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নিগার সুলতানা জানান, চাঁদনীর শরীরের অর্ধেক অংশ সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয়। এ ব্যাপারে চাঁদনীর বাবা কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় স্বামী মনির, তার মা, ভাই ও ভাবিকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আহমেদ কবীর জানান, এ ঘটনায় জড়িত মনিরের ভাবিকে আটক করা হয়েছে। প্রধান আসামি মনির পলাতক রয়েছে। পলাতক আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।