কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ঘিরে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দিনটিতে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কতায় থাকবে বলে জানিয়েছেন মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। রোববার সকালে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “ওই দিন ঘিরে সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই। তবে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে। পুরো শহীদ মিনার ঘিরে থাকবে চার স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী। অতীতের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তা পরিকল্পনা করা হয়েছে।” পুলিশ কমিশনার বলেন, “শহীদ মিনার ঘিরে চারটি নিরপত্তা বেষ্টনীর একটি থাকবে বেদী কেন্দ্রীক, একটি থাকবে শহীদ মিনার কেন্দ্রীক, একটি দোয়েল চত্বর, নীলক্ষেত, পলাশী, চানখারপুল এবং আরেকটি অন্য এলাকাগুলো ঘিরে থাকবে।” শহীদ মিনারের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ট্রাফিক বিভাগ তাদের নির্দেশনা দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে শহীদ মিনারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী পরিষদ সদস্য, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেতা মৎস্য ভবন থেকে দোয়েল চত্বর হয়ে প্রবেশ করবেন। সাধারণ মানুষ পলাশীর মোড় থেকে প্রবেশ করতে পারবে। ওইদিনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, “শহীদ মিনারের প্রবেশ পথে থাকবে ম্যানুয়াল চেকিং, মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চেকিং ও সর্বশেষ আর্চওয়ে পার হয়ে শহীদ মিনারে প্রবেশ করতে হবে। চারদিকে থাকবে পুলিশের সতর্ক অবস্থান ও পেট্রোল ব্যবস্থা। “মৎস্যভবন থেকে নিউমার্কেট এলাকা ও বিশেষ করে দোয়েল চত্বর থেকে পলাশী এলাকার প্রতিটি জায়গা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে, যা কন্ট্রোলরুম থেকে মনিটর করা হবে। সেখান থেকে সার্বক্ষনিকভাবে পুরো এলাকার নিরাপত্তা তথ্য আদান প্রদানের সুযোগ থাকবে। যে যেকোনো পরিস্থিতিতে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়। ২০ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনার ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। নিরাপত্তায় নজরদারিতে শহীদ মিনারের চারপাশে থাকবে ওয়াচটাওয়ার।” পুরো এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আট হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। ওই সময়ে কোনো ভাসমান দোকান সেখানে থাকবে না বলেও জানান তিনি। গত বছর একটি দলের কর্মী সমর্থকরা দোয়েল চত্বর থেকে উল্টোপথে অযাচিতভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে পুলিশকে লাঞ্চিত করে শহীদ মিনারে জুতো পায়ে প্রবেশ করেছিল। এই জাতীয় পরিস্থিতি সর্বমহলে নিন্দিত হয়েছিল। এই পরিস্থিতি যেন আর না ঘটে সেজন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করার কথাও বলেন তিনি।