সান্তাহার বি পি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবন সংকটে ব্যাহত শিক্ষা কার্যক্রম
আদমদীঘি প্রতিনিধি : বগুড়ার সান্তাহার পৌর শহরের বি.পি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে আসন সংকটে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। নতুন ভবন বরাদ্দ না পাওয়ায় শ্রেনী শিক্ষণের মারাত্মক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। আসন সংকটের কারনে প্রাক-প্রাথমিক ক্লাসের শিশুরা মেঝেতে বসে ক্লাস করছে।
সান্তাহার পৌর শহরের ৪ নং ওয়ার্ডের কলসা মৌজায় অবস্থিত সান্তাহার বি পি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৮৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত। সান্তাহার পৌর সভায় এই স্কুলটি সবচেয়ে প্রাচীন ও নানা দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। বনমালি ও পরমেশ্বর নামক দুই জন হিন্দু দানশীল ব্যক্তি স্কুলটির জন্য জমি দান করেন। তাঁদের নামনুসারে স্কুলটির নাম হয় বি.পি সরকারী প্রথিমিক বিদ্যালয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ৪০০ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। স্কুলটির ক্লাশ রুমের সংখ্যা মাত্র ৫টি। এরমধ্যে শিশু শ্রেণীর জন্য নির্ধারিত ক্লাসটি অত্যান্ত ছোট এবং জীর্ণশীর্ণ। শীত মৌসুমে মেঝেতে বসে ক্লাস করতে শিশুদের কষ্টে দেখে অভিভাবকরা চিন্তিত হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ভবন সংকটের কারনে ব্যহত হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম। ইতিপূর্বে আসন সংকটের অবস্থা জাতীয় ও আঞ্চলিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। আদমদীঘি উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তরা বিদ্যালয়ের যাবতীয় তথ্য নিয়ে গেছে। উপজেলা প্রাথমিক দপ্তর থেকে ভবন বরাদ্দের ব্যাপারে কয়েক দফা আশ্বাসও দেওয়া হলেও কিন্তু ভবন বরাদ্দ হয়নি।
সান্তাহার বিপি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অন্যতম সদস্য সহকারী অধ্যাপক ও সাংবাদিক রবিউল ইসলাম রবিন বলেন, আমরা এই বিদ্যালয়টির ভবন বরাদ্দের বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরে অনেকবার যোগাযোগ করেছি, তাঁদের পক্ষ থেকে প্রতিশূতিও পেয়েছি, কিন্তু ভবন বরাদ্দ হয়নি। এই বিদ্যালযের শিক্ষার্থীর কষ্ট বিবেচনা করে নতুন ভবন বরাদ্দের জন্য আমি সংশ্লিস্ট দপ্তরের দৃষ্ঠি আকর্ষন করছি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিসেস খালেদা খানম বলেন, ভবন সংকটের এই করুণ অবস্থা সদর উপজেলা দপ্তরে একাধিকবার জানালেও সমাধান মেলেনি। আসন সংকটের কারনে আমি হিমসিম খাচ্ছি। আদমদীঘি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাসুদ রানা এ প্রসঙ্গে বলেন, ভবন সংকটের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। শিগগিরই সমস্যা সমাধান হবে।