শীতের ভাপা পিঠা বিক্রয় করে সাবলম্বী সাহেবগঞ্জ গ্রামের টুকু মিঞা।

tuku-news-pic
একেএম কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ প্রতিনিধি : শীত আসলেই ফুটপাতে পিঠার দোকানের উপর টুকু মিয়ার পরিবার নির্ভর হয়ে পড়ে। এই শীতের পিঠাওয়ালারা ভদ্র্র ঘরের অভিজাত গৃহ বধুদের মুক্তি দিয়েছে পিঠা তৈরীর কষ্ট থেকে। আর শীতে সবার ঘরে নানান ধরনের পিঠা তৈরী হয়।।পরিবারের সবাই এই পিঠা খেতে বেশি পছন্দ করেন। গ্রাম থেকে শহরের সকলে এই পিঠার চাহিদা রয়েছে। এই পিঠা তৈরী করতে প্রয়োজন হয় নানান ধরনের উপকরন, তার সাথে প্রয়োজন হয় অভিজ্ঞতার । অন্য সব খাবারের মত এই পিঠা সহজেই তৈরী করা যায় না। বাবার মৃত্যুর পর বিধাব মা,ভাইকে সাথে নিয়ে সংসারের হাল ধরার জন্য নিজেকে কাজে লাগাচ্ছেন নওগাঁর আত্রাই উপজেলার দ্বার প্রান্তে তিন রাস্তার মোড়ে শীতের সন্ধ্যাকালীন সময় ভাপা পিঠা,সাতফুটি (ঝাল লবনের) পিঠা,চিতাই পিঠা দোকানীরা। দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষেরা খাওয়ার জন্য উপজেলার হাট-বাজার,রেলওয়ে ষ্টেশানসহ বিভিন্ন স্থানে গড়ে তুলেছে প্রায় শতাধিক পিঠার দোকান।আর পিঠার দোকান সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত্রি ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এসব ভাসমান পিঠার দোকানের অধিকাংশ মালিকরাই হলো হত দরিদ্র পরিবারের লোক জন। সংসারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে এবং দরিদ্র পরিবারের অর্থের জোগান দিতে তারা রাস্তার পাশের্^ এ সব পিঠার দোকান বসিয়ে পিঠা বিক্রয় করছে। তাদের এই একটি পিঠা ৭ থেকে ১০ টাকা দামে বিক্রয় হচ্ছে। রিক্স্রা চালক,দিন মজুর,শিশু-কিশোর ,চাকুরী জীবি ও স্কুল –কলেজের ছাত্ররা হচ্ছে এ সব পিঠার দোকানের প্রধান কাষ্টমার,( ক্রেতা)। এ ছাড়াও এমন অনেক স্বচ্ছল পরিবারের সদস্য রয়েছেন যারা চাকুরী করে বাসায় ফেরার পথে পিঠা ক্রয় করে বাড়িতে নিয়ে যান, কেউ বা আবার নতুন বউয়ের জন্য কিংম্বা বৃদ্ধ বাবা-মার জন্য নিয়ে যান।সন্ধ্যা হলেই দেখা যায় আত্রাই উপজেলার সদরে তিন রাস্তার মোড়,আহসানগঞ্জ রেলওয়ে ষ্ট্রেশানের প্লাটফমের উপর, রেল-লাইনের পাশের্^, আত্রাই মুক্তি যোদ্ধা মার্কেট, পাঁচুপুর কালিবাড়ি বাজার,গুড়নই চেয়ারম্যান বাড়ির রাস্তার মোড়, মালিপুকুরবাজার,কাশিয়াবাড়ি সুইজগেট বাজার, নওদুলী বাজার, সাহাগোলা রেল ষ্ট্রেশান বাজার,পাকাসুন্দা নতুন বাজার, খঞ্জর বাজার, কাসুন্দা বাজার, বান্দাইখাড়া বাজার, মসিকপুর তিন রাস্তার মোড় এলাকা ঘুড়ে দেখা যায় শীত কালীন সময় এসব জনবহুল স্থানে প্রতিদিন পিঠার দোকান বসে। গত ২৫ ডিসেম্বর রবিবার সন্ধ্যায় আত্রাই রেলওয়ে ষ্ট্রেশান ও উপজেলার সদর সাহেবগঞ্জ তিন রাস্তার মোড় ঘুড়ে পিঠা বিক্রেতা টুকু মিঞার সাথে কথা বলে জানা যায়, সে প্রতিদিন ৩শত থেকে ৪শত ভাপা ও ঝাল পিঠা বিক্রি করে ৩শত থেকে ৪শত টাকা আয় করেন। এই ব্যবসার পূর্বে সে (টুকু মিঞা) ভ্যানগাড়ী চালাতো। এখন সে অর্ধবেলা ভ্যাগাড়ী এবং বেলা ৪টা থেকে রাত্রি ৯টা পর্যন্ত পিঠা তৈরীর কাজ করেন। উভয় কাজ করে সে প্রতিদিন গড়ে ৬শত টাকা আয় করেন। সে এক যুগ ধরে এই পিঠার দোকান করছেন। তিনি আরো জানান, আমি শুধু চেয়ে থাকি কখন শীত আসবে আর শীত আসলে আমার হাতে আসবে টাকা সেই টাকা দিয়ে আমার সংসারের আয় হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *