আদমদীঘির শ্বাশান ঘাটিতে পাক-বাহিনীর নির্মমতার শিকার শহীদ চার মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতিস্তম্ভ^ ৪৫ বছরেও নির্মিত হয়নি
আদমদীঘি প্রতিনিধি : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনতার জন্য সেদিন অনেকেই মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। সারাদেশের ন্যায় পশ্চিম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ৫ শতাধিকেরও অধিক তৎসময়ের টকবটে যুবকরা মহান এই মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। দীর্ঘ ৯ মাসের গেরিলা ও সম্মূখ যুদ্ধে অনেকে শহীদ হন আবার অনেক যোদ্ধা পঙ্গুত্ব বরন করেন। এই উপজেলায় ২৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। এদের মধ্যে আদমদীঘি সদরে পাক-হানাদার বাহিনী ও রাজাকারদের হাতে কোমারপুর গ্রামের আব্দুল জলিল আকন্দ, চকসোনার গ্রামের আলতাফ হোসেন, কাঞ্চনপুর গ্রামের মনসুরুল হক টুলু ও আব্দুস ছাত্তার আটক হন। এরপর পাক-হানাদার বাহিনী এ দেশের দোসরাদের সহযোগিতায় বীর এই চার মুক্তিযোদ্ধা কে থানায় আটক রেখে খেজুর গাছের কাঁটাওয়ালা ডাল ও রাইফেলের বাট সহ বিভিন্ন ভাবে মধ্যযুগীয় কায়দার ৪ দিন ধরে প্রকাশ্যে শারীরিক নির্যাতন করার পর দেশ স্বাধীনের মাত্র ২দিন আগে আদমদীঘির খাড়ির ব্রিজ শ্বশান ঘাটিতে নিয়ে দিনের বেলা প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে। এই নির্মমতার দৃশ্য আজও প্রত্যক্ষদর্শি আবুল হোসেন, মকবুল হোসেন, আফছার আলীর মতো অনেকের মনে তাড়া করে বেড়ায়। এই চার বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে শ্বশান ঘাটিতে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মানের দাবী মুক্তিযোদ্ধাদের। ১৯৯৬ সালে উপজেলা পরিষদ থেকে এখানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মানে জন্য ভিত্তিপ্রস্তর ও ফলক তৈরী করে রাখা হলেও আজও সেই আশা পূরন হয়নি। অযতেœ আর অবহেলায় কালের স্বাক্ষী হয়ে পড়ে রয়েছে ফলকটি। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ, ডেপুটি কমান্ডার আবির উদ্দিন, সহকারি কমান্ডার সোলায়মান আলী, মজিবর রহমান ও ফজলুর রহমান দুঃখ প্রকাশ করে জানান সরকার বিভিন্ন খাতে উন্নযন করলেও অবহেলিত রযেছে এই চার বীর শহীদের স্থানটি। তারা অবিলম্বে এখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন।