কর্তৃপক্ষের অনিয়ম দুর্নীতি সুন্দরগঞ্জে ৬ মাস আগে টাকা উত্তোলণ হলেও ব্রিজের কাজ শেষ হয়নি

sundargonj-picture-30-11-20161
গোলাজার রহমান, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় চূড়ান্ত বিল উত্তোলণের ৬ মাস অতিবাহিত হলেও কর্তৃপক্ষের অনিয়ম দুর্নীতির কারণে আজও শেষ হয়নি মালভাঙ্গা পাতা ব্রিজ নির্মাণের কাজ। ত্রাণের ব্রিজ কি প্রাণ পাবে এ প্রশ্ন এলাকাবাসির। জানা গেছে, ২০১৫/১৬ অর্থ বছরে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের পূর্ব চন্ডিপুর গ্রামের মালভাঙ্গা পাতা ব্রিজ (দৈর্ঘ্য ৫০ ফিট) নির্মাণের জন্য ৫৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দ মোতাবেক অন্যান্য কার্যাদি সম্পন্ন করে সুরভী এন্টারপ্রাইজকে কাজ দেয়া হয়। ব্রিজ নির্মাণের কাজ ৩০ জুন/১৬ তারিখের মধ্যে সম্পন্ন করার কথা। কিন্তু সরকারি নিয়মকে উপেক্ষা করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ও ঠিকাদার যোগসাজসে কাজ না করেই ৩০ জুন/১৬ তারিখে বিল উত্তোলণ সম্পন্ন করেন। এর পরেও ঠিকাদার কাজ আরম্ভ করলে গত আগস্ট মাসে নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রীর কারণে ব্রিজের ছাঁদ ঢালাই ধ্বসে পড়ে। এ খবর জানতে পেরে স্থানিয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন অনিয়ম দুর্নীতি তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেন। আরও জানা গেছে, একই সাথে ১২টি ত্রাণের ব্রিজের টেন্ডার আহ্বান করা হয় এবং মোট বরাদ্দ দেয়া হয় প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের কাছে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে ১০% হারে টাকা উৎকোচ গ্রহণ করা হয়। যার কারণে সকল ব্রিজের কাজ হয় নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে। গতকাল বুধবার ব্রিজের ছবি তোলার সময় স্থানিয় জনতা নি¤œমানের কাজ হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা নতুন করে সম্পন্ন ব্রিজ সঠিক নিয়মে করার দাবি জানান। এ ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জনগণের উপকারার্থে সরকার ত্রাণের ব্রিজ নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়। কিন্তু নি¤œমানের সামগ্রী হওয়ায় সঠিকভাবে কাজ বুঝে নেয়ার জন্য এবং অনিয়ম দুর্নীতির তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ কল্পে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানিয়েছি। তিনি আরও জানান ব্রিজের কাজ ভাল হলে এর সুফল পাবে জনগণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *