পাকা ধানের সোনালী রঙে ভোরে উঠেছে মাঠ প্রান্তর
কাজী আশরাফ, লোহাগড়া(নড়াইল)প্রতিনিধি : অনাবৃষ্টি ও অতিবৃষ্টির প্রভাবে অপূরনীয় ক্ষতি হওয়ায় এবং উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় দিশাহারা নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কৃষকরা। ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে এবং ঘুরে দাঁড়াতে তারা আবাদ করেছিলেন আগাম জাতের উচ্চফলনশীল রোপা আমন ধান। অনুকূল আবহাওয়ার কারনে কৃষকের ভাগ্যের চাকা খুলে দেয় আগাম জাতের এ ফসল। তবে ফলন ভালো হলেও ধানের বাজারদর কম হওযায় হতাশা কাটছে না কৃষকের।
উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে রোপা পদ্ধতিতে কৃষকরা আমনের চাষ করেছিলেন। বর্ষ মৌসুমে জমিতে সেচ না লাগায় এবং সার, বীজ, কীটনাশক ও নিড়ানি খরচ কম হওয়ায় এ জাতের ধান চাষে ঝঁকেছেন কৃষকেরা। এছাড়া অল্প সময়ের মধ্যে ফসল ঘরে তুলতে পারায় রোপা আমন চাষে আগ্রহ বাড়ছে লোহাগড়ার কৃষকের মাঝে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে কৃষকরা ধান কাটা প্রায় শেষ করেছেন। আগাম জাতের আমন ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন তারা। দিগন্ত জুড়ে সোনালী রঙে ভরে ওঠা ফসলের মাঠ দেখে কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় রোপা আমনের লক্ষমাত্রা ৭ হাজার ৪৭২ হেক্টর জমি নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ৮ হাজার ৯৯০ হেক্টর। যা লক্ষমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ৫১৮ হেক্টর জমি।
উজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের দেবী গ্রামের কৃষক ইসলাম কাজী এ প্রতিবেককে জানায়, রোগবালাই কম ও অনুকুল পরিবেশ থাকায় সস্তিতে ধান উৎপাদন সম্ভব হয়েছে। একই ইউনিয়নের সত্রহাজারী গ্রামের সবুর কাজী বলেন, অতীতের চেয়ে এবার ফলন ও ভালো হয়েছে। তবে বর্তমানে ধানের বাজারদর কম হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেন বিশ্বাস বলেন, এ বছর আবহাওয়া ভালো এবং রোগবালাই কম। পাশাপাশি কৃষি অফিসের সময়মত পরামর্শ পেয়ে কৃষকেরা জমিতে যে পরিমান পরিশ্রম করেছে তাতে বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।