কলারোয়ায় ডাক্তার কামরুলের ভুয়া প্রত্যায়ন পত্রে এক প্রতিবন্ধী নাজেহাল
জুলফিকার আলী,কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি : কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি না হয়েও ৮মাস চিকিৎসা হয়েছে মর্মে প্রত্যায়ন প্রদান করলেন এক ডাক্তার। এই সট্টিফিকেট নিয়ে এক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করলেন এক প্রতারক। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে,কলারোয়া উপজেলা পৌর সদরের তুলসীডাঙ্গা গ্রামের শহর আলীর পাটনি জিবীত থাকা কালিন সময়ে পৌর সদরের তুলসীডাঙ্গা গ্রামের প্রতিবন্ধী অসহায় আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে জমা জমি নিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামাটি দীর্ঘ দিন সাতক্ষীরা আদালতে চলার পরে হেরে যাবেন বলে নিজ খচ্চায় শহর আলীর পাটনি তুলে নেন। পরে তিনি মারা যান। এর মধ্যে শহর আলী পাটনি ছেলে প্রতারক শুকুর আলী কলারোয়া হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তার কামরুল ইসলামের কাছে কিছু টাকা দিয়ে তার পিতা শহর আলী ৮মাস ধরে চিকিৎসা নিয়েছেন মর্মে একটি ব্যক্তিগত প্যাডে প্রত্যায়ন পত্র গ্রহন করে। পরে এই প্রত্যায়ন পত্র নিয়ে শুকুর আলী সাতক্ষীরায় দেওয়ানী আদালতে একটি মামলা খাড়া করে দেন। এই মামলায় হাজিরা না দেওয়ার কারনে আদালত কয়েক বার শুকুর আলীকে জরিমানাও করেছে। এদিকে ডাক্তার কামরুল ইসলাম প্রত্যায়ন প্রদান কারী শহর আলীকে চেনেন না। কোন দিন দেখিওনি। প্রত্যান পত্র প্রদানের আগে তিনি মারা গেছেন বলে প্রতিবন্ধী আবুল কাশেম সাংবাদিকদের জানান। এবিষয়ে ডাক্তার কামরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কিছুই জানতাম না। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই শুকুর আলী আমার প্রত্যায়ন পত্র নিয়ে নিরহ এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাতক্ষীরার দেওয়ানী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছে। আদালতে তার বিরুদ্ধে সুমন জারীও হয়েছে। তিনি আদালতে স্বাক্ষীও প্রদান করেছেন। বর্তমানে তিনি কলারোয়া হাসপাতাল থেকে বদলী হয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে রয়েছেন। এদিকে ডাক্তার কামরুল ইসলামের ভুয়া প্রত্যায়ন পত্রের কারণে নিরহ প্রতিবন্ধী আবুল কাশেম একটি মিথ্যা মামলায় হয়রানী স্বীকার হচ্ছে। তিনি সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ও জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। একই সাথে প্রতারক শুকুর আলী বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীও জানিয়েছেন।