সুন্দরগঞ্জে উদ্ধোধনের আগেই ফাটল ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ভবনটি নিয়ে শঙ্কায় কর্তৃপক্ষ
মোশাররফ হোসেন বুলু, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন ভবনটি হস্তান্তরের আগেই ফাটল ধরায় সংশিষ্ট বিভাগ নব-নির্মিত ভবনটি গ্রহণ করা নিয়ে শঙ্কায় ভুগছেন।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০০৭ সালে ফায়ার সার্ভিস ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১১ সালে রাজনৈতিক জটিলতায় নির্মাণ কাজ স্থবির হয়ে পড়ে। ২০১৩ সালে পুনঃরায় নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালে ভবনটির যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হয়। মির্জা কনস্ট্রাকশন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এটি নির্মাণ করেন। কিন্তু নি¤œ মানের উপকরণ দ্বারা ভবনটি তৈরি করায় হস্তান্তরের আগেই পশ্চিম পাশের্^র দেয়াল দেবে যায়। এছাড়া বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরেছে। যে কারণে সিভিল ডিফেন্স বিভাগ ভবনটি গ্রহণ করছে না। ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটি চালু না হওয়ার ফলে প্রতি বছর অগ্নিকান্ডে জনগণের জানমালের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হচ্ছে। ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা। ঠিকাদার শফিকুর রহমান বলেন ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ১৮ তারিখে ভবনটি নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা উত্তোলণ করা হয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিভাগ কি কারণে এখনও ভনটি বুঝে নিচ্ছে না তা আমার জানা নাই। এব্যাপারে রংপুর অঞ্চলের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর পরিচালক শেখ আসাদুজ্জামান বলেন নব-নির্মিত ভবনটির সমস্যা সমাধানে ওই অঞ্চলের সহকারি পরিচালক আঃ মজিদকে দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনি তদন্ত করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরসহ গণপূর্ত বিভাগে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। প্রতিবেদনের আলোকে উপর থেকে কোন নির্দেশনা না আসায় ভবনটি গ্রহণ করা হচ্ছে না। এ নিয়ে রংপুর অঞ্চলের সহকারি পরিচালক আঃ মজিদ জানান, কাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। তাছাড়া ভবনের দুপাশের্^র দেয়ালের সঙ্গে লোহার রড দিয়ে টানা দেয়ার পরও কতখানি নিরাপত্তা বহন করবে তা দেখার বিষয়। সব মিলে উপজেলায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে লোকজন তাকিয়ে থাকে গাইবান্ধা ও রংপুর ফায়ার সার্ভিসের দিকে। কিন্তু ৪০ থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরুত্ব হওয়ায় গাইবান্ধা বা রংপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মী বাহিনী আসার আগেই ঘর-বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। উপজেলাবাসীর ভোগান্তি কমাতে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটি শীঘ্রই চালু করা দরকার।