শৈলকুপায় মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে জখম মামলায় আ’লীগ-যুবলীগের প্রভাবশালীরা আসামী হওয়ায় পুলিশ মহাবিপাকে !

awamilig-pic-jhenaidah
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের প্রবিণ নেতা মুক্তার হোসেন মৃধা ও তার ছেলে মোরশেদ মৃধাকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় সরকারী দলের প্রভাবশালী নেতাদের নামে মামলা রেকর্ড হয়েছে। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছে শৈলকুপার পুলিশ।

প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে রয়েছে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুল হাইয়ের পিএস আব্দুল হাকিম, শৈলকুপা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান যুবলীগ সভাপতি শামিম হোসেন মোল্লা, যুবলীগের সেক্রেটারি শামিম জোয়ারদার, ছাত্রীগের সভাপতি শাওন শিকদার, সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি কর্ণেলসহ ১০ জন।

এই মামলায় বুধবার পর্যন্ত শৈলকুপা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান শামিম হোসেন মোল্লার বডিগার্ড আশরাফুল নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রভাবশালী নেতারা আসামী হওয়ায় পুলিশ সতর্কতার সাথে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করছে।

মামলার বাদী এড মাহমুদুল হাসান সুমন মৃধা অভিযোগ করেন, আসামীরা শৈলকুপা শহরেই ঘুরছে, কিন্তু পুলিশ ধরছে না। তিনি বলেন, শৈলকুপায় কোন টেন্ডার হয়না। গত ৭ বছর মামলার আসামীরা টেন্ডারবাজীর মাধ্যমে সব কাজ ভাগবাটোয়ারা করছেন।

এলজিইডি, শিক্ষা প্রকৌশল, গনপুর্ত, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাগজ দেখলেই আমার অভিযোগের সত্যতা মিলবে। আমি মিথ্যা বলি না।

সুমন আরো জানান, আমার বাবা ও ভাই টেন্ডার ড্রপ করায় আসামীরা তাদের নির্মম ভাবে কুপিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে। অথচ আমার বাবা আওয়ামীলীগের প্রবিন নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা। বৃদ্ধ মানুষটিকে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা প্রকাশ্যে কোপালো, যার সিসিটিভির ফুটেজ পুলিশের কাছে আছে।

মামলার প্রধান আসামী টেন্ডারবাজীর সাথে যুক্ত। আর বাকীরা চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে শৈলকুপায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে যাচ্ছে। এদের কারণে শৈলকুপায় আওয়ামীলীগের ভরাডুবি হবে বলে সুমন দাবী করেন।

এদিকে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম জানান, আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে। ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেফতারা করা হয়েছে। আসামী প্রভাবশালী হলেও কোন পক্ষপাতিত্ব বা রাজনৈতিক চাপ নেই বলেও ওসি দাবী করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *