তেরখাদায় স্বামী স্ত্রীর ভাসমান গলিত লাশ উদ্ধার হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে মানবন্ধন
তেরখাদা প্রতিনিধি : তেরখাদায় অবৈধ সীমানা পিলার পাচারকারী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটদের নির্মম হত্যার শিকার তেরখাদার ইখড়ী গ্রামের মৃত্যু হবি মোল্যার পুত্র সহজ সরল গরুর ব্যবসায়ী মোঃ খসরুল মোল্যা (৪২) ও তার স্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা এফ, এম ইউসুফ আলীর ৬ মাসের অন্তসত্বা কন্যা মোসাঃ লিপি বেগম (৩০) কে ভাসমান অবস্থায় গতকাল বুধবার সকাল অনুমান সাড়ে ৭ টায় ইখড়ী উক্তরপাড়া শেখবাড়ী জামে মসজিদ সংলগ্ন পৃথক পৃথক পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে তেরখাদা পুলিশ প্রশাসন। নিহতদের স্বজনদের সুত্রে জানা যায় গত ১২ সেপ্টম্বর রাত্র অনুমান ৯ টায় স্বামী স্ত্রী দুজনে মিলে ধারের টাকা আনার জন্য একই গ্রামের মৃত আমিন উদ্দিন শেখ এর পুত্র তরিক শেখ এর বাড়ী উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে নিখোজ হয়। অতপর ১৪ সেপ্টম্বর ২০১৬ তারিখ স্থানীয় জনগন উক্ত পুকুরে তাদের ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে ২নং ইউপি চেয়ানম্যান কে, এম আলমীর হোসেনকে সংবাদ দিলে তিনি পুলিশ প্রশাসনের সহযোগীতায় গলায় ওড়না পেচানো ও পেট ফাড়া অবস্থায় খসরুল মোল্যার লাশ এবং পৃথক পুকুর থেকে লিপি বেগমের লাশ উদ্ধার করে। তেরখাদা থানা পুলিশ এবং ঐ দিন সকাল ১১ টায় ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। এঘটনায় সন্দেহমুলকভাব্ েপ্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদের জন্য ইখড়ী গ্রামের আরজ আলী ও মোঃ কামাল ২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। এসংবাদ পেয়ে খুলনা পুলিশ সুপার মোঃ নিজামুল হক মোল্যা, এ, এস, পি সার্কেল প্রসান্ত কুমার দে, ওসি ডিপি শিকদার আক্কাস আলী পিপিএম ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন এবং দোষীদের খুজে বের করে গেফতার করার নির্দেশ দেন। এ নির্মম হত্যাকারীদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানিয়ে তেরখাদার প্রধান সড়কে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার চৌধুরী আবুল খায়ের এর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনি সম্পাদক বোরহান উদ্দিন আহমেদ এর পরিচালনায় সহ¯্রাধিক লোকের সমাবেশে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মানব বন্ধনে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু প্রকৃত হত্যাকারীদের খুজে বের করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোল্যা এহিউল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এফ, এম আহিদুজ্জামান, সাধারন সম্পাদক কে, এম আলমগীর হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এফ, এম ইউসুফ আলী, এফ, এম এ মান্নান, অরবিন্দ প্রসাদ সাহা, কে, এম নজরুল ইসলাম শেখ শহিদুর রহমান, মোল্যা আঃ রাজ্জাক, আনোয়ার হোসেন, কৃষক লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব মোঃ নাজমুল ইসলাম, সিনিয়র সদস্য শেখ মিজানুর রহমান ছাত্রীলীগ সভাপতি ফকির জাহিদুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক মোল্যা মোঃ হিজবুল্লাহ, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি শারাফত হোসেন মুক্তি, শেখ আনিচুল হক প্রমুখ এলাকার আপামর জনসাধারন। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।