লোহাগড়ায় প্রকাশ্যে নিষিদ্ধা কারেন্ট জালের রমরমা ব্যবসা হুমকির মুখে মৎস্য সম্পদ
কাজী আশরাফ, লোহাগড়া(নড়াইল)প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়ার হাটবাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল। এ জাল দিয়ে ধরা হচ্ছে ডিমওয়ালা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। উপজেলার পৌর এলাকাসহ এড়েন্দা, শিয়রবর, ইতনা, দিঘলিয়া ও মহাজন হাট-বাজারে নিষিদ্ধ এসব কারেন্ট জাল বিক্রি হচ্ছে। প্রকাশ্যে এ জাল বাজারে বিক্রি হলেও মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রশাসনের ভুমিকা অদৃশ্য। ৪ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার বা তার চেয়ে কম ব্যাস বা দৈর্ঘের ফাঁস জাল বা কারেন্ট জাল তৈরি, বিক্রি ও বাজারজাত নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আইন করা হলেও এখানে তা মানা হচ্ছে না। জানা গেছে, আইন অমান্যকারীকে ৫০০ টাকা জরিমানা বা ছয় মাসের জেল অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রয়েছে। সরকারি এ আইনকে কোনো প্রকার তোয়াক্কা না করে উপজেলার প্রায় প্রতিটি হাট-বাজারে কিছু অসাধু মাছ ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের নাকের ডগায় কারেন্ট জালে ধৃত রূপালী জাটকা ইলিশ বিক্রি করছে। আইনের প্রয়োগ না থাকায় এবং উপজেলা মৎস্য দপ্তরের উদাসীনতায় এক শ্রেনীর অসাধু মৎস্য শিকারী কারেন্ট জাল ব্যবহার করে জাটকা এবং পোনাসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ নিধন করছে। অভিযোগ রয়েছে, বিশেষ সুবিধার বিনিময়ে মৎস্য অফিসের কর্তাদের হাট-বাজার পর্যবেক্ষণ বন্ধ থাকায় জাটকা ইলিশ নিধন ও অবাধে সেই মাছ বাজারে বিক্রির সুযোগ পাচ্ছে জেলেরা। অপরদিকে লোহাগড়ার কোল ঘেঁেষ বয়ে যাওয়া মধুমতি নদীতে প্রকাশ্যে জেলেরা অবৈধভাবে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালে জাটকা, পোনাসহ ডিমওয়ালা মা মাছ নিধন করায় সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
অবসর প্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা কাজী সামছুর রহমান বলেন, “কারেন্ট জালের কারনে দেশের ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের টিকে থাকা এখন হুমকির মুখে। এ ধরনের জালে ছোট-বড় সব মাছ ধরা পড়ে। এ জাল পানিতে দেখা যায়না বলে একে এড়িয়ে যাওয়া কঠিন। পাশাপাশি এর দাম সস্তা হওয়ায় বহুল ব্যবহারের ফলে মিঠাপানি ও সামুদ্রিক অনেক মাছ বিলুপ্ত হওয়ার পথে”।
এ ব্যপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রনজিত কুমার বলেন, “মৎস্য আইনে কারেন্ট জাল বাজারে বিক্রি এবং তা দিয়ে মাছ শিকার সম্পুর্ণ নিষেধ। আমরা কারেন্ট জাল ব্যবসায়ী ও ব্যবহারকারী জেলেদের বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা নিব।###