জামালপুরের বন্যা দূর্গত ইসলামপুরে পানি বন্ধি মানুষের দূর্ভোগ চরমে,ত্রাণের জন্য হাহাকার; ৪শিশুর মৃত্যু
ওসমান হারুনী,জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরে ইসলামপুরে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। বন্যায় উপজেলার পৌর এলাকাসহ ১৩টি ইউনিয়নে দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্ধি হয়ে চরম দূর্ভোগে পড়েছে। ত্রাণের জন্য চলছে দূর্গত এলাকা হাহাকার। বন্যার পানিতে ডুবে গত তিন দিনে ৪শিশুরসহ মোট ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদসীমার ১২১সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। যমুনার হুহু করে বেড়ে যাওয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে রাস্তা-ঘাট,ঘরবাড়িসহ তলিয়ে গেছে কৃষকের পাট, রোপা আমন বীজতলা, সবজি বাগান,পুকুর ও ফসলি জমির মাঠ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি উঠায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে। জেলার সবচেয়ে বেশি দূর্গত এলাকা ইসলামপুর পৌর এলাকাসহ ১৩টি ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে দেড় লক্ষধিক মানুষ। বন্যা কবলিত মানুষ উচু জায়গাসহ বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে মানবেতর জীন যাপর করছে। বিশুদ্ধ পানি, ত্রানের জন্য হাহাকার চলছে বন্যা কবলিত এলাকা। জেলা প্রশাসন থেকে ইসলামপুরে বন্যা কবলিত এলাকা যে পরিমাণ শুকনো খাবার ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা প্রয়োজনীয় তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন বন্যা কবলিত এলাকার স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা। এদিকে বৃহস্প্রতিবারে জামালপুরের ইসলামপুরে আইড়মারী গ্রামে বন্যা পানিতে পড়ে রাখিব ও ইয়াছিন নামে দুই শিশু মারা গেছে। এছাড়াও আগের দিন বুধবার ইসলামপুর উপজেলার পাথর্শী ইউনিয়নের মুখশিমলা গ্রামে ছবেদ আলীর শিশু ছেলে সুলাইমান ও সাপধরী ইউনিয়নের সাইদুরের শিশু মেয়ে ছাবিনা বন্যার পানিতে পড়ে মারা গেছে। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২৯ জুলাই পর্যন্ত বন্যার পানিতে ইসলামপুর উপজেলার ৩০হাজার ৬০০পরিবারের ১লাখ ৫৩ হাজার লোক পানি বন্ধি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বন্যার পানির তোড়ে এ উপজেলায় ৯৪টি ঘর সম্পূর্ন রুপে এবং ৮০০ ঘর বাড়ি আংশিক ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে। ১২০০ হেক্টর ফসল পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। এছাড়াও ২০০কিলোমিটার কাচা ও ১০ কিলোমিটার পাকা রাস্তা বন্যার পানির তোড়ে ভেঙ্গে গেছে। পানি প্রবল ¯্রােতে সিংভাঙ্গা,রামভদ্রাসহ পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রন প্রায় ৬কিলোমিটার বাধঁ ভেঙ্গে গেছে। বন্যার পানিতে নিমজ্জিত ৯১শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আংশিক ক্ষতি হয়েছে।্ এছাড়াও বন্যায় ৪৬টি মৎস খামার ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে পশ্চিমাঞ্চলের কুলকান্দির পাইলিংপাড়,আঠিয়ামারী মাঝিপাড়া বাধঁ, শহীদ স্বৃতি উচ্চ বিদ্যালয় ও বেলগাছা ইউনিয়নের বেলগাছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,বেড়ে গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মুন্নিয়া গুচ্ছ গ্রাম। চিনাডুলী ইউনিয়নের গুঠাইল বাজার, গুঠাইল স্কুল হতে চেয়ারম্যান ম্যানের বাড়ী পর্যন্ত, বলিয়াদহ থেকে উলিয়া বাধঁ, চর নন্দনের পাড়া নদীর পাড়। নোয়ার পাড়া ইউনিয়নের মাহমুদপুর হতে রামভদ্রা রাস্তায়,কড়ির তাইড় ৩টি ব্রিজে, উলিয়া থেকে কড়িরতাইড় রাস্তায়, রামভদ্রা আশ্রয় কেন্দ্র, রামভদ্রা মইজউদ্দিন মুন্সির বাড়ীর নিকট পাকা রাস্তায়, হাড়গিলা তাড়তাপাড়া রাস্তায় ও সোনামুখি কটুর বাড়ী হতে করিরতাইড় মজিবরের বাড়ীর রাস্তায় বন্যা কবলিতদের জন্য আশ্রয় কেন্ত্র খোলা হয়েছে। এসব অস্থায় আশ্রয় কেন্দ্রে সরকারি হিসাব মতে ১০হাজার ২৮৫জন বন্যার্ত মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে।