ভোলাহাটে ৬০ বছরের নারী লোভি জিন্নাত ভাগ্নিকে ধর্ষণের দায়ে শ্রীঘরে
ভোলাহাট(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধি : একাধীক নারীর জীবন নিয়ে খেলা খেলতে গিয়ে অবশেষে ১৫ বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের দায়ে মামলায় অভিযুক্ত হয়ে ফেঁসে গিয়ে বৃহস্পতিবার পুলিশের হাতে ধরা খেয়ে শ্রীঘরে পাঠানো হয়েছে ৬০ বছরের নারী লোভি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার সাঠিয়ারবাজার গ্রামের মৃত: ভোদু মহাজনের ছেলে আলহাজ্ব জিন্নাত আলীকে। মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৫ জুলাই উপজেলার সুরানপুর গ্রামের দরিদ্র নজরুল ইসলামের ধর্ষিতা শিশু (১৫) মেয়েকে কাজ করার জন্য ধর্ম ভাগ্নি শিশুটিকে ও তার নানীকে নানা প্রকার প্রলোভন দিয়ে রাত ১০টার দিকে তার বাড়ী সাঠিয়ার বাজারের বাড়ীতে নিয়ে যায়। সে রাতে শিশুটিকে একা ঘরে পেয়ে মৃত্যু’র ভয় দেখিয়ে জোর পূর্বক বিবস্ত্র করে ধর্ষণ করে। এ সময় অসহায় শিশুটি চিৎকার করতে গেলে মুখ গামছা দিয়ে চেপে ধরে। পর দিন শিশুটি বাবার বাড়ী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে যেতে না দিয়ে ১৬, ১৭, ১৮, ১৯ ও ২০ তারিখ পর্যন্ত তার বাড়ীতে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ২০ জুলাই রাতে কৌশলে পালিয়ে গিয়ে ধর্ষণের বিস্তারিত বিবরণ দেয় তার বাবা মাকে। জিন্নাত প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা করতে সাহস না পাওয়ায় স্বজনদের সাথে অলোচনা করে ২১ জুলাই জিন্নাতকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করেন। উল্লেখ্য জিন্নাত অনেক পূর্ব থেকে একাধীক নারীর সাথে আপত্তিকর সর্ম্পক থাকার অভিযোগ রয়েছে। তা’ছাড়া জিন্নাত পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর এলাকায় মিষ্টি বিতরণ পর্যন্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ দিকে এলাকাবাসির দাবী দরিদ্র অসহায় ধর্ষিতা শিশুটি যাতে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত না হয় এ জন্য সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি কামনা করে। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মোজহারুল ইসলাম জানান, মামলার আসামীকে গ্রেফতার করে জেলাহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং মামলার তদন্ত চলছে বলে জানান।