সান্তাহারে ভিজিএফ চালের গুদাম সিল, বিতরণ তালিকা জব্দ
আদমদীঘি প্রতিনিধি : ভিজিএফের চাল বিতরণে ওজনে কম দিয়ে উদ্বৃত্ত করা বিপুল পরিমান চালের গুদাম সিল এবং বিতরণ তালিকা জব্দ করেছে আদমদীঘি উপজেলা ত্রান কর্মকর্তা। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে বগুড়ার সান্তাহার পৌর সভায়।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বগুড়ার সান্তাহার পৌরসভার ৩ হাজার ১৮০ সুবিধাভোগীর মধ্যে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বরাদ্দ করা ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়। চাল বিতরণ করার সময়ই ৫ ভ্যানে করে প্রায় ২৫/৩০ বস্তা চাল পাচার করা হয়। এ সময় পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাজিমউদ্দিন খান বাচ্চু বাধা দিলেও পৌরসভার কর বিভাগের কর্মচারি বিকাশ চন্দ্রের হস্তক্ষেপে চাল পাচার ঠেকাতে ব্যর্থ হন বলে জানিয়েছেন ওই কাউন্সিলর এবং ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর-প্যানেল মেয়র জার্সিস আলম রতন সহ পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কাসেম। তারা জানান, সরকার জনপ্রতি ২০ কেজি করে ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দিলেও বিতরণের সময় ২/৩ কেজি করে চাল কম দেওয়া হয়। এছাড়াও একজনের কার্ডের চাল ভাগ করে দেওয়া হয় ২জনকে। পক্ষান্তরে চাল বিতরনের সময় ওজন যন্ত্র হিসাবে দাঁড়িপাল্লা বা ডিজিটাল স্কেল কোনটাই ব্যবহার না করে ‘বালতি মাপ’ দেওয়ারও অভিযোগ মিলেছে।
তাঁরা আরোও জানান, তালিকাভুক্ত সকল সুবিধাভোগীদের চাল দেবার পরও তালিকার বাহিরে ৫০/৬০ দুঃস্থ এবং মাস্টাররোলে কর্মরত ১১৫ পৌর কর্মীকেও চাল দেওয়া হয়। এর পরও উদ্বৃত্ত থেকে যায় ৫৫ বস্তা চাল। ঘটনাটি রহসজনক। বিষয়টি নিশ্চিত হবার পর পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কাসেম সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিলে ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম লিখিত অভিযোগ আমলে নিয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে উপজেলা ত্রান কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে দেন। উপজেলা ত্রান কর্মকর্তা আবু হেলাল সোমবার রাত পৌনে ১০ টায় সান্তাহার পৌর সভায় আসেন। তিনি অভিযোগকারি এবং সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টুর নিকট থেকে ভিজিএফ বিতরণ তালিকা বা মাস্টাররোল জব্দ করেন। এ সময় তালিকাভুক্ত ১১৫ জন সুবিধাভোগী চাল বিতরনের দিন হাজির না থাকার তথ্য মেলে। সে হিসাবে ৪৬ বস্তা চাল মজুদ থাকার কথা থাকলেও গুদামে মেলে ৫৫ বস্তা চাল। পরে গুদাম হিসাবে ব্যবহার করা পৌর সভার ১০৮ নং কক্ষ সিল করেন ত্রান কর্মকর্তা আবু হেলাল। তিনি জানান, ঈদের ছুটির পর ব্যাপক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।