আগে আসলে আগে পাইবে চিতলমারীতে জমে উঠেছে ঈদের বাজার, পোশাকের দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়
মুন্সী দেলোয়ার হোসেন, চিতলমারী : রং আর ডিজাইনে ফ্যাশানের নিত্য নতুন পোশাকে চোঁখ তরুন তরুণীদের। ছেলেদের পাঞ্জাবী ও মেয়েদের থ্রি-পিস তারুণ্য খোঁজে বৈচিত্র্য, খোঁজে নতুনত্ব। তারুণ্যের এই ভাবনা মাথায় রেখে এবার ঈদে ফ্যাশান হাউজগুলো তৈরি করছে বাহারি ডিজাইনের পোশাক। আগে আসলে আগে পাইবে এমন কথা শোনা যায় দোকানের কর্মচারীদের মুখে। চিতলমারী উপজেলার সবচেয়ে বড় পোশাকের বাজার উপজেলা সদরে অবস্থিত কাপুড়ে পট্রি, শেরে-বাংলা সুপার মার্কেট, মানিক মিয়া সুপার মার্কেট ও গাজী সপ। এছাড়াও রয়েছে ছোট বড় প্রায় দুই শতাধিক শাড়ি, লুঙ্গি ও ছেলে মেয়েদের নিত্য নতুন বাহারি রংঙের পোশাকের দোকান। এসব দোকানের মূল ক্রেতা তরুন তরুণীরা। এসব দোকানগুলো ঘুরে দেখাযায় ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেছে। তরুণ তরুণীদের পদচারণায় মুখর গোটা বিপণিবিতানগুলো। পোশাকের দোকানে ভিড় করে আছে উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েরা। নতুন একটা পোশাক দেখা গেলে সেই দোকানে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। এখানকার ভাগ্যলক্ষ্মী বস্ত্রালয়ের মালিক এ প্রতিনিধিকে জানান, ফ্যাশান নিত্য পরিবর্তনশীল, ক্রেতারা পরিবর্তনও চায়। দেশীয় পন্যকে প্রাধান্য দিয়ে এর সঙ্গে পাশ্চাত্যের মিশেল ঘটিয়ে তৈরি করা হচ্ছে নানান ডিজাইনের পোশাক। তারকেশ্বর বস্ত্রালয়ের কর্নধরের সাথে কথাহলে তিনি বলেন, আমরা ঈদ উপলক্ষে ছেলে মেয়েদের জন্য নিত্যনতুন ডিজাইনের পোশাক সংগ্রহে রেখেছি এবং আমাদের সব পোশাকের দাম মধ্যবিত্তদের নাগালে। টি শার্ট, চায়না গেঞ্জি ও জিঞ্চের প্যান্ট কিনছিলেন মোল্লাহাট খলিলুর রহমান ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থী মো: রুবেল খান তিনি বলেন, প্রতি ঈদেই আমার পাঞ্জাবী কেনা হয়, এবার ঈদে একটু ব্যাতিক্রম কেনাকাটা করলাম। মিতুয়া বস্ত্রলয়ের মালিক আলহাজ্ব আবুল কালাম মিঠু জানান, প্রতি বছরের মতো এবার ঈদ সামনে রেখে শাড়ি কাপড়ের মধ্যে বিভিন্ন ধারনের সিল্ক, ল্যাহাঙ্গা শাড়ি, জারা গোল্ড, রূপসী বাংলা, প্রিয়সী, স্বর্ণচুড়ি এসবের চাহিদা রয়েছে বেশী। মেসার্স বৈদ্যনাথ গার্মেন্টেসের মালিক বাদল সাহা, বিবেকান্দ গার্মেন্টেসের মালিক টিটব বিশ্বাস, তারকেশ্বর ক্লথস্টোর এন্ড গার্মেন্টেসের মালিক প্রমথ রঞ্জন সাহা, স্টুডেন্ট গার্মেন্টেসের কর্নধর শংকর দেবনাথ, ফিরোজা ফ্যাশানের মালিক আবু হানিফ, অদিতি ফ্যাশানের মালিক স্বপন মন্ডল একই শুরে বলেন, এবার ঈদে মেয়েদের জন্য শাড়ি ল্যাহাঙ্গা, বাজিরাও মাস্তানি, শাহারা, এসকট, ফ্লোরটাস এবং বাচ্চাদের জন্য ছোট ল্যাহাঙ্গা, ওয়াশের শার্ট প্যান্ট বেশী চলছে। এবার ঈদেও ছেলেদের পোশাকের মধ্যে বেশী বেচা বিক্রি হচ্ছে শর্টপাঞ্জাবী, সেমি লং পাঞ্জাবী, এমব্রয়ডারি করা পাঞ্জাবী, হাতের কাজ করা কারচুপি ও প্রিন্টের পাঞ্জাবী। বিবেকান্দ গার্মেন্টেসে কেনাকাট করতে এসেছেন বাগেরহাট পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির সচিব মো: মোস্তফা শেখ সাথে রয়েছেন ছেলের বউ মাফুজা ইসলাম, মেয়ে নুপুর আক্তারসহ নাতনী পুতনী, তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, সবাবইকে নিয়ে পছন্দের পোশাক কিনেছি। অদিতি গার্মেন্টেসের কর্নধর স্বপন মন্ডলের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, রমজানের প্রথম মার্কেটে ক্রেতা বাড়ছে। প্রথম থেকে তারা ঘুরে ঘুরে পোশাক দেখত পছন্দ করত। আর এখন কিনতে শুরু করেছে। বর্তমান ঈদ বাজারে প্রচুর পরিমানে নানান ধরনের পোশাক বিক্রি হচ্ছে। শাড়ির চাহিদাও ভাল। তবে তরুন তরুনীদের পদচারণায় মূখর প্রতিটি বিপণিবিতান।