স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির অপরাধে সালিশ ধামরাইয়ে ইভটিজারকে ছেড়ে দিল মেম্বার ॥
প্রাণ গোপাল : ঢাকার ধামরাইয়ে স্কুল ছাত্রীকে যৌনহয়রারির অপরাধে গ্রাম্যসালিশি বৈঠক হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ না করে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য ইভটিজারকে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওযা গেছে। এঘটনায় এলাকায় নারি শিক্ষার্থী ও অভিভাববকদের মাঝে বিরাজ করছে গভীর উদ্বেগও চরম আতংক। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার ধামরাইয়ের ইন্দরা গ্রামে।
সরেজমিনে গেলে যৌনহয়রানির শিকার শিক্ষার্থী আমতা হরলালাল চন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ও ইন্দরা গ্রামের বাসিন্দা টেইলার মাষ্টার মোঃ বাবুল হোসেনের মেয়ে মোসাম্মৎ সোমাইয়া আক্তার ও এলাকাবাসী জানান, প্রাইভেট পড়া শেষে উক্ত বিদ্যালয় থেকে নিজ বাড়ি ফেরার পথিমধ্যে শনিবার বিকেল আনুমানিক ৪টার দিকে ইন্দরা গ্রামের মাতাব্বর মোঃ সিদ্দিক আলীর বাড়ির পাশে রাস্তায় দুই বখাটে যুবকের কবলে পড়ে। এসময় তারা এ স্কুলছাাত্রীকে নানা ধরণের কু-প্রস্তাব দেয় এবং উত্যক্ত করে। বখাটে যুবকরা হল সৌদি প্রবাসী রব বাদশা মিয়ার ছেলে মোঃ মনিরুজ্জামান ও সাধন মিয়ার ছেলে রবিন মিয়া। সহপাঠীদের সহায়তায় বখাটের কবল থেকে পরিত্রাণ পায় ওই স্কুলছাত্রী সুমাইয়া। সহপাঠীরা তাকে বাড়ি পৌঁছে দেয়।
বিষয়টি ওই স্কুলছাত্রী সুমাইয়া তার দাদা আব্দুল মজিদ কেরানির কাছে জানালে তিনি স্থানীয় নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য মোঃ মহর আলীকে অবহিত করেন। এরপর ওই ইউপি মেম্বার থানা পুলিশ কিংবা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের ভ্রাম্যমাণ আদালতকে অবহিত না করেই শনিবার রাতেই গ্রাম্যসালিশি বৈঠকে মিলিত হয় ওই ইভটিজিংয়ের ঘটনায়। রবিন নামে এক বখাটে এ সালিশি বৈঠকে উপস্থিত হলেও সৌদি প্রবাসী রব বাদশা ছেলে মনিরুজ্জামান মনির ওই গ্রাম্যসালিশি বৈঠকে হাজির হয়নি।
ওই ইউপি মেম্বার উপস্থিত ওই ইভজিারকেও থানা পুলিশ কিংবা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ না করে ছেড়ে দিয়েছে। এনিয়ে নারি শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মাঝে গভীর উদ্ধেগ ও চরম আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
ইভটিজিংয়ের শিকার স্কুলছাত্রী সুমাইয়ার বাবা বাবুল হোসেন বলেন,একজন বখাটে যুবক হাজির হলেও অপরজন হাজির হয়নি। আমি এ সালিশি মানিনা। আমি এর ন্যয্য বিচার ও শাস্তি চাই ওই বখাদের।
ইউপি সদস্য মোঃ মহর আলী বলেন,স্থানীয় ভাবে বিচার সালিশ করে বিষয়টি মিমাংসা করেছি। কাজেই বিষয়টি নিয়ে কোন বাড়াবাড়ি করবেননা। করলে যে সালিশি মানেনি তার বিষয়ে যা খুশি করুন।
এব্যাপারে স্কুলছাত্রীর দাদা আব্দুল মজিদ বলেন,এলাকায় থাকতে হবে তাই মিমাংসা মেনে নিয়েছি।
ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ রিজাউল হক দীপু বলেন,এব্যাপারে লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে যথযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।