মংলা-ঘষিয়াখালী নৌ চ্যানেল সংলগ্ন খালের অবৈধ বাঁধ অপসরণের কাজ শুরু
মনির হোসেন, মংলা (বাগেরহাট) : মংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ চ্যানেল সংলগ্ন খালের অবৈধ বাঁধ অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব কুমার রায় এ প্রতিনিধিকে জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় এই চ্যানেল সংলগ্ন ২৪৫টি রেকর্ডীয় খালের রেকর্ডীয় খালের ৩ শতাধিক বাঁধ অপসরণের কাজ ইতোমধ্য শুরু করা হয়েছে। তিনি জানান, এসব বাঁধ অপসারণের জন্য জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ৯শ মেঃটন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। উপজেলার ১০ ইউনিয়নে সব ওয়ার্ডের সদস্যদের মাধ্যমে খাল ও বাঁধের সংখ্যা নির্ণয় করে তাদের মাধ্যমে মূলত বাঁধ কাটার কাজ শুরু করা হয়েছে। গত ১০ জুন ফয়লাহাটে খানজাহান আলী বিমান বন্দর সংলগ্ন চাচুড়ির খালের বাঁধ অপসারণের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য তালুকদার আঃ খালেক।
নাম প্রকাশ না করে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি এ প্রতিনিধিকে খাল কাটা প্রসঙ্গে বলেন, মেম্বারদের মাধ্যমে বাঁধ কাটার কাজ ঠিকমত হবে না। কারণ বেশির ভাগ মেম্বারই কোন না কোন খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের সাথে যুক্ত আছেন। এজন্য সরকার যতই বরাদ্দ দিক না কেন মেম্বারদের মাধ্যমে বাঁধ কাটার কাজে পুরোপুরি সফলতা আসবে না। এতে করে বরাদ্দকৃত চালের অপচয় হবে বলে তারা মন্তব্য করেন। বাইনতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ ফকিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেম্বারদের সাথে কথা না বলে বাঁধ কাটার বিষয়ে কিছুই বলতে পারছি না। সঠিক কতটা বাঁধ কাটা হয়েছে তা না জেনে বলা যাচ্ছে না। তবে ওই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য মাহাবুবুর রহমান জানান বাঁধ কাটার কাজ এখনও শুরু হয়নি। তালিকা করে ইউ.এন.ও অফিসে পাঠানো হয়েছে। রাজনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার আঃ হান্নান ডাবলু জানান, তালিকা করে খালের বাঁধ কাটার কাজ শুরু করা হয়েছে। ইতোমধ্য ৫নং ওয়ার্ডে কয়েকটি খালের বাঁধ কাটা হয়েছে। ইউ.এন.ও সাহেবের নির্দেশনা শাথায় রেখে আগামী ২০ জুনের মধ্য পর্যায়ক্রমে তার ইউনিয়নের সকল রেকর্ডীয় খালের অবৈধ বাঁধ কাটা হবে বলে তিনি জানান। উজলকুড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী আকতারুজ্জামান বলেন রুকরা হচ্ছে। বাঁশতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী বলেন বাঁধ কাটার কাজ এখনও শুরু হয়নি। তিনি বলেন খাল নেই তার বাঁধ কাটব কি? যা দুই এক টা আছে আগায় টাগায় তা কেটে দিলে গ্রাম ঘাট প্লাবিত হয়ে যাবে। তার পরও মেম্বারদের বলেছি দেখ বাঁধ থাকলে কেটে দাও। গৌরম্ভা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গাজী গিয়াশ উদ্দিন জানান তার ইউনিয়নে এ পর্যন্ত কয়েকটি খালে ৩০/৪০ টির মত বাঁধ কাটা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য খালের বাঁধও কাটা হবে। তাছাড়া অবৈধ বাঁধের একটা তালিকা করে ইউ.এন.ও অফিসে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া পেড়িখালী, ভোজপাতিয়া, রামপাল সদর, হুড়কা ইউনিয়নে রেকর্ডীয় খালের বাঁধ অপসারণের কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানা গেছে।