ভোলাহাটে প্রধান শিক্ষককে এক হাত নিলেন শিক্ষা অফিসার
ভোলাহাট(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধি : নারায়নগঞ্জের এমপির পর এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলা শিক্ষা অফিসার মিটিং-এ ডেকে এক হাত নিলেন এক প্রধান শিক্ষককে। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ৪৭টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার কামাল উদ্দিন (ভারপ্রাপ্ত) মাসিক মিটিংএ ডাক দেন। এ সময় পীরগাছী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোফাখ্খারুল ইসলাম অন্য সহকর্মীদের সাথে কথা বলছিলেন। এ কারণে উপজেলা শিক্ষা অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) কামাল উদ্দিন সরকারী চাকুরি বিধি লংঘন করে কটুক্তি করে সবার সামনে শাস্তি হিসেবে উপজেলার সব চেয়ে প্রবীন প্রধান শিক্ষককে ৩ মিনিট দাঁড় করিয়ে রাখেন। এতে এ শিক্ষক নিজেকে ভীষণ অপমানিত মনে করে ঘটনাস্থলেই কেঁদে ফেলেন। এতে করে উপস্থিত ৪৭টি স্কুলের প্রধান শিক্ষকগণ তীব্র প্রতিবাদে মিটিং এর পরিবেশ লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের মাধ্যমে এ প্রধান শিক্ষককে ইংগিত করে শিক্ষা অফিসার বলেন, “আপনি যদি মাইন্ড করেন” তবে ব্যাপারটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ জানান। এ ব্যাপারে গোহালবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহসান আলী জানান, আজ একজন প্রধান শিক্ষককে অপমানিত করেছে কাল অন্য শিক্ষককে অপমানিত করবে। তিনি আরো বলেন, শিক্ষকদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে শিক্ষা অফিসার এ শিক্ষকের সাথে তার অফিসে কোলাকোলি করে আপোষ করেন। তবে আমাদের দৃষ্টিতে এ ঘটনাটি ঠিক করেননি বলে দুঃখ প্রকাশ করেন। একই ঘটনায় ইমামনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, ঘটনাটি সঠিক। তবে আপোষ হয়েছে বলে জানান। এ ঘটনায় উপজেলা শিক্ষা অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) কামাল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনাটি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন এবং সম্পূর্ণ বিষয়টি এড়িয়ে যান। এ দিকে এ শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ থাকলেও তার ভয়ে কোন শিক্ষক মুখ খুলতে পারছেন না বলে অনেক প্রধান শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করেন।