প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দায়িত্বহীনতায় ইসলামপুরে কর্মসৃজন প্রকল্পের বেহাল অবস্থা
ওসমান হারুনী,জামালপুর প্রতিনিধি : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় কর্তৃক বাস্তবায়িত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দূর্যোগ“ অতিদরিদ্রদের জন্য কর্ম সংস্থান কর্মসূচি” ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরের ২য় পর্যায়ে প্রকল্পের কাজে জেলার ইসলামপুরে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দায়িত্বহীনতার কারণে চরম অনিয়ম-দূর্নীতি চলছে।
এ প্রকল্পের ২য় পর্যায়ের কাজ ২৫ এপ্রিল থেকে ইসলামপুরে শুরু হলেও এখন পর্যন্ত সিংহভাগ প্রকল্পের কাজই শুরু হয়নি। এদিকে কাজ শুরুর ১৭/১৮ কর্মদিবস অতিবাহিত হলেও প্রকল্পের কোন সাইন বোর্ড উঠেনি। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়ন উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটির দায়িত্বহীনতার কারণে ভেস্তে গেছে প্রকল্পের উদ্দেশ্য। চলছে প্রকল্পের কাজে নানা অজুহাতে কর্মদিবস ফাঁকি। এব্যাপারে রহস্য জনক কারণে নিরব ভুমিকা পালন করছে ইজিপিপি কর্মসূচির সুুষ্ঠু,স্বচ্ছ ও সময়োচিত বাস্তবায়নের দায়িত্বে নিয়োজিত উপজেলা কমিটির সভাপতি ও সদস্য সচিব উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রকিবুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট সদস্যরা। সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতিবারের মতো প্রকল্পবাস্তবায়ন সংশ্লিষ্ঠদের ম্যানেজ সিস্টেমের কারণে কোনো তদারকি না থাকায় প্রকল্পে কাজে সিংহভাগ শ্রমিক উপস্থিত নেই। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রকল্পের কাজের ১৮ কর্মদিবস অতিবাাহিত হলেও অনেক প্রকল্পে এখনো কাজ ধরা হয়নি। ছাইন বোড উঠেনি প্রকল্পে কাজের। অভিযোগ রয়েছে,দলীয় ও চেয়ারম্যান-মেম্বারদের ভি.আই.পি শ্রমিকের কারণে প্রতিবছরই ইজিপিপি প্রকল্পের নামমাত্র কাজ করে সরকারের সিংহ ভাগ টাকা ভাগবাটোয়ারা হয়ে চলে যায় উপজেরা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও সদস্য সচিব, ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ঠ ওয়ার্ডের সদস্যসহ প্রকল্পবাস্তবায়ন ও তদারকির দায়িত্ব নিয়োজিত ট্যাগ কর্মকর্তাদের পকেটে। ফলে ইজিপিপি’র উদ্দেশ ও আদশ্য সরকারী নীতিমালা ও নির্দেশনা এ উপজেলায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় সরকারের ইজিপিপি প্রকল্পের উদ্দেশ্য ভেস্তে যাচ্ছে।
জানা যায়, জেলার ইসলামপুর উপজেলায় ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচীর ইজিপিপি’র ওয়েজ প্রকল্পের ১২টি ইউনিয়নে ৫০টি প্রকল্পের ৩ হাজার ২৬০জন উপকার ভোগী রয়েছে। সকল উপকার ভোগী দৈনিক ২০০/-টাকা হারে মজুরি পাবে। ২কোটি ৬০ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে কাজ করার কথা ৪০কর্মদিবস। প্রকল্পের কাজের ২সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও সরেজমিনে দিয়ে গিয়ে ১০ ভাগ শ্রমিকও কাজে উপস্থিত পাওয়ায় যায়নি। প্রকল্প এলাকা উঠেনি এখনো কোন ছাইন বোর্ড।
শনিবার ১৪মে ইসলামপুর সদর ইউনিয়নে ২২ নং প্রকল্পে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে গংগাপাড়া ঈদগাহ মাঠ হইতে বজলুল হক স্কুলের ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তা মেরামত কাজে ৫২ জন শ্রমিক কাজ করার কথা থাকলেও কোন শ্রমিক কাজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও এ ইউনিয়নের ২৪ নং প্রকল্প কাচিহারা মোন্তাজ ফারাজীর বাড়ি হইতে বকুল ফারাজীর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত, ২৩ নং প্রকল্প শংকরপুর পাকা রাস্তা হইতে লাল মিয়ার বাড়ি হইয়া আযাহারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত ও ২৫ নং পচাবহলা আলাই পূর্বপাড়া বকুল ডাক্তারের বাড়ি হইয়া মনছুর মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত প্রকল্পেকাজে কোন শ্রমিক পাওয়া যাযনি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছেএকই চিত্র চিনাডুলী,পলবান্ধা,বেলগাছা ও কুলকান্দি ইউনিয়নসহ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ৫০টি প্রকল্পেরই। বিষয়টি যেন দেখার কেউ নেই। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রকিবুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি অসুস্থ্য বলে পাশ কাটিয়ে যান।।