চুয়াডাঙ্গায় স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণধোলাই তড়িঘড়ি করে স্কুল ছুটি ঘোষনা॥

chuadanga_pic-3(1)_126411
হাবিবুর রহমান,চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের ঝিনুক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক আহাদ আলীর বিরুদ্ধে ১০ম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বিকেলে নোট দেয়ার নাম করে ওই শিক্ষার্থীকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে জানায় নির্যাতিত শিক্ষার্থীর পরিবার।
বুধবার সকালে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লেও ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও স্থানীয়রা হামলা চালায় ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এ সময় তারা অভিযুক্ত শিক্ষক আহাদ আলীকে মারপিট করে। একইসঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি চেয়ে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করতে থাকে। অবস্থা বেগতিক হওয়ায় তড়িঘরি করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্কুল ছুটি ঘোষণা করেন।
নির্যাতিত শিক্ষার্থীর স্বজনরা জানায়, বৃহ¯পতিবার ক্লাসরুমে নোট দেয়ার কথা বলে ওই শিক্ষার্থীকে শুক্রবার বিকেলে বাড়িতে যেতে বলে শিক্ষক আহাদ আলী। তার কথামত ওই শিক্ষার্থী বাড়িতে গেলে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়। এ সময় ওই শিক্ষকের বাড়িতে কেউ ছিলো না বলে জানায় ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থী। বিষয়টি ওই শিক্ষার্থী তার অভিভাবকদের জানালে বুধবার সকালে ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও তার স্বজনরা হামলা চালায় ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এ সময় মারপিট করা হয় অভিযুক্ত শিক্ষক আহাদ আলীকে।
এদিকে শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থী ধর্ষণের খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে শিক্ষার্থীরা। তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করতে থাকে। তাতে স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবকরা যোগ দিলে পরিস্থিতি চরম উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অবস্থা বেগতিক হওয়ায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে বিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন ।
একইসঙ্গে শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সঙ্গে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (শিক্ষা ও আইসিটি) আব্দুর রাজ্জাক, সহকারী কমিশনার মুনিবুর রহমান ও সহকারী পুলিশ সুপার ছুফী উল্লাহ রুদ্ধতার বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা সাংবাদিকদের জানান, ধর্ষণের বিষয়টি আমরা মৌখিকভাবে জানতে পেরেছি, বিষয়টির লিখিত অভিযোগ পেলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এ্যাড. নুরুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে অনেক প্রশ্ন আছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিচ্ছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে সভাপতি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পরই ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে, এ ব্যাপারে ঝিনুক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *