৩২ বছর ধরে স্টেশনে উড়ছে লাল-সবুজের পতাকা
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা : সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হাসানগঞ্জ রেল স্টেশনে ৩২ বছর ধরে ট্রেন গমনাগমন করছে লাল সবুজের পতাকা উড়িয়ে।
১৯৮৪ সালে বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু হাসান এর নেতৃত্বে এলাকাবাসীর দাবির মুখে হাসানগঞ্জ রেল স্টেশনটি স্থাপন করা হয়। এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি বাস্তবায়ন হলেও আজও ট্রেন ক্রোসিংয়ের কোন ব্যবস্থা ও জনবল নেই। এছাড়াও নির্মাণ হয়নি অফিস ঘর, প্লাটফর্ম ও ট্রেন আসা-যাওয়ার সিগন্যাল টাওয়ার। এদিকে এলাকাবাসীর অনুদানে একটি ছোট অফিস ঘর নির্মাণ করা হলেও স্টেশন মাস্টার নিয়োগ না হওয়ায় বিনা টিকিটে প্রতিদিন শত শত যাত্রী যাওয়া আসা করছেন। এতে করে সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। ট্রেন আসা যাওয়ার কাজ করে ২ জন গেট কিপার। তারা পালাক্রমে দায়িত্ব পালনকালে লাল পতাকা উড়িয়ে স্টেশনে ট্রেনের যাত্রা বিরতি এবং সবুজ পতাকা উড়িয়ে ট্রেন ছেড়ে দেয়ার সংকেত দিয়ে থাকেন। বর্তমানে স্টেশনটিতে আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়া সবগুলো ট্রেনেই যাত্রা বিরতি করছে। টিকিটের ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন শত শত যাত্রী উঠা-নামা করলেও সরকার মোটা অংকের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ও সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু স্টেশনটি এক সময় পরিদর্শন করে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা আজও বাস্তবে রূপ নেয়নি। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি হাট-বাজারের ব্যবসায়ীরা মালামাল আনা-নেয়া করতে স্টেশনটির উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। স্টেশনটি স্থায়ীভাবে পূর্ণাঙ্গতা পেলে সরকারের যেমন প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হবে তেমনি শত শত যাত্রী সাধারণও নির্বিঘেœ রেল ভ্রমণের সুযোগ পাবে। এলাকাবাসী অনতিবিলম্বে রেল বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পূর্ণাঙ্গ স্টেশন বাস্তবায়নের জোর দাবি জানিয়েছেন। এব্যাপারে বোনারপাড়া রেল স্টেশন মাস্টার ফজলুর হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন হাসানগঞ্জ রেল স্টেশনে কোন প্রকার কাগজপত্রাদি আমাদের দপ্তরে নেই। বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের নর্ব নির্বাচিত চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা জানান, আমার প্রথম কাজ হবে হাসানগঞ্জ রেল স্টেশনটিকে পূর্ণাঙ্গ রুপ দেওয়া।