স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুসহ সাধারণ মানুষ লোহাগড়া সেটেলমেন্ট অফিসের ইকবাল হোসেন বড়ই বেপরোয়া
কাজী আশরাফ, লোহাগড়া(নড়াইল)প্রতিনিধি: প্রকাশ্যে ধুমপান নিষিদ্ধ হলেও নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার সেটেলমেন্ট অফিসে অফিস চলাকালিন সময়ে নিজ দপ্তরে বসে ধুমপান করেন কপিষ্ট কাম বেঞ্জসহকারী মো. ইকবাল হোসেন। প্রত্যান্ত অঞ্চল থেকে আসা ভুক্তভোগী মানুষের কথা শোনার সময় নেই তার। সরকারি এ কার্যালয়ে কেবল প্রকাশ্যে ধুমপানই নয়, কার্যালয়ে রীতিমতো চলে অনৈতিক কর্মকান্ড। অফিসের কপিষ্ট কাম বেঞ্জসহকারী মোঃ ইকবাল হোসেন সরকারি নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা করে না। সরেজমিনে অফিস চলা কালিন সময়ে গিয়ে দেখা যায়, তিনি কর্মস্থানে বেশিরভাগ সময়ই ফ্লিম ষ্টাইলে নিজ দপ্তরে বসে ধুমপান করছেন। উপজেলার সেটেলমেন্ট অফিসে আসা কয়েকজন সেবা গ্রহীতার সাথে কথা বলে জানা যায়, মোঃ ইকবাল হোসেন এত বেশি ধুমপায়ী যে, তার সাথে কথা বলতে হলে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে অথবা নাকে কাপড় চেপে রুমে ঢোকা লাগবে। সূত্রে জানা জায়, ২০১৩ সালের তামাক আইনের সংশোধনীতে উল্লেখ আছে, অফিস আদালত ছাড়াও পাবলিক প্লেসে ধুমপান করা যাবে না। আইন অনুযায়ী ওই সব স্থানে ধুমপায়ীকে ৩ শ টাকা জরিমানা করতে হবে। কিন্তু উপজেলার সেটেলমেন্ট অফিস ঘুরে মনে হলো জরিমানা তো দুরে থাক, এখানে অফিস চলাকালিন সময়ে সরকারি চেয়ারে বসে ধুমপান করাটাই যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারি-বেসরকারি কার্যালয় সহ ২৪ ধরনের স্থানকে পাবলিক প্লেস ঘোষনা দিয়ে সরকার সে সব জায়গাকে ধূমপান সম্পূর্ন নিষিদ্ধ করেছে। তামাক নিয়ন্ত্রন আইনে শিশুসহ অধুমপায়ীদের পরোক্ষ ধুমপান থেকে রক্ষায় কঠোর বিধান থাকলেও তা কতটা মানা হচ্ছে, এ নিয়ে প্রশ্ন এখন উপজেলাবাসীর।
এ বিষয়ে কপিষ্ট কাম বেঞ্জসহকারী মোঃ ইকবাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি উদ্ধতস্বরে বলেন, আপনার বাড়ি কোথায়? আমি একটু বেশিই টানি। অভ্যাস হয়ে গেছে। কিছুই করার নেই। সরকারি দপ্তরে অফিস চলাকালিন সময়ে ধুমপানের ব্যাপারে এ.এস.ও আব্দুল মান্নান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, আপনার সাথে পরে কথা বলব।