ঝিনাইদহে পৃথক সংঘর্ষে পুলিশ ও মহিলাসহ আহত ৩৫ : ১০টি বসতঘর ভাংচুর : পুলিশের গুলিবর্ষণ !
স্টাফ রিপোর্টার(ঝিনাইদহ) : ঝিনাইদহের শৈলকুপায় রানীনগর ও নওপাড়া গ্রামে পৃথক দুটি সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ সদস্য ও মহিলাসহ আহত হয়েছে ৩৫ জন। সংঘর্ষে ১০ টি বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ ২১ রাউন্ড শর্টগানের গুলি বর্ষণ ও ৬ রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। এছাড়াও পুলিশের গুলিতে ৩ জন আহত হয়েছে। জানা গেছে, মির্জাপুর ইউনয়নের রানীনগর গ্রামে সোমবার সকালে সামাজিক কোন্দলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ১০টি বসতঘর ভাংচুুরের ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ সদস্য মোহাম্মদ আলী, মনোরা বেগম ও সাথী আক্তারসহ ৫ জন আহত হয়। আহতরা শৈলকুপা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সামাজিক মাতব্বর সিদ্দিক মোল¬া ও বাবুল জোয়ার্দ্দার একত্রিত হয়ে প্রতিপক্ষ মাতব্বর লতিফ বিশ্বাসের দলীয় লোকজনের বাড়ীতে দলবল নিয়ে হামলা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। এতে মোহাম্মদ আলী নামের এক পুলিশ সদস্য আহত হয়। সামাজিক মাতব্বর লতিফ বিশ্বাস জানান, নাজের মন্ডল, ওয়াজেদ বিশ্বাস, আক্কাস মন্ডল, মনিরুল, খোকন, এরশাদ ও তার বাড়ীসহ মোট ১০ জনের বসতবাড়ীতে হামলাকারীরা ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। তিনি আরো জানান, তাদের সামাজিক দল ছোট হওয়ায় প্রতিপক্ষরা তাদেরকে বাড়ীতে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। বাড়ীর বাইরে বের হলে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এ ছাড়াও প্রতিপক্ষরা বেশ কয়েকজনকে গ্রামছাড়া করেছে, তাদেরকে বাড়ী ফিরতে বাধা দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।অন্যদিকে ঐদিন দুপুরে মনোহরপুর ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ১ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য রতন ও আসন্ন ইউপি নির্বাচনে সদস্য প্রার্থী মোক্তার হোসেনের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তারা উভয়েই আওয়ামীলীগের কর্মী বলে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার দুপুরে নওপাড়া গ্রামের রতন মেম্বর ও মোক্তার হোসেনের কর্মী-সমর্থকরা দেশীয় তৈরী ঢাল, ফালা, রামদা, বল¬ভ নিয়ে সংঘের্ষ জড়িয়ে পড়ে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ২১ রাউন্ড শর্টগানের গুলি বর্ষণ ও ৬ রাউন্ড টিআরসেল নিক্ষেপ করে। পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছে নওয়াব আলী, স্বপ্না খাতুন ও আবেদ আলী। এছাড়াও সংঘর্ষে মহিলাসহ অন্তত: ৩০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে মোক্তার, সাইফুল, আরব আলী, মইনুল, আব্দুল ওহাব, হান্নান, শফিকুল, মাসুম, আমির, জাকির ও রজব আলীসহ ১৩ জন শৈলকুপা হাসতাপালে ও গুলিবিদ্ধ ৩জনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৬ জনকে আটক করেছে।
শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ মহিবুল ইসলাম জানান, উভয় স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে।