শেরপুরের পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা? শ্রীবরদী থানার আলোচিত এস.আই ভান্ডারি আনোয়ার লাগামহীন!

শেরপুর প্রতিনিধি: দিন দিন আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির কারনে চরম উৎকণ্ঠায় দিনপার করছে মানুষ। ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদে আবার ঘরে ফিরে যেতে পারবে কিনা তা নিয়ে অনেকেই থাকেন আতঙ্কে। বাসার বাইরে থাকা স্বজনদের জন্য যেমন পরিবারের লোকজন থাকেন দুশ্চিন্তায় তেমনি ঘরে থাকা মানুষের জন্য চিন্তায় থাকেন কর্মব্যস্ত মানুষ। কখন কি ঘটে তা নিয়ে উদ্বেগের শেষ নাই। সবচেয়ে বেশি সর্বনাশা ও ভয়াবহ দিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে দেশের জনজীবনের শান্তি ও নিরাপত্তা বিধানের গুরু দায়িত্ব যে পুলিশ বাহিনীর ওপর ন্যস্ত সেখানেই দুষ্ট লোকের অবাধ বিচরণ। শেরপুরের সীমান্তবর্তী শ্রীবরদী থানায় কর্মরত এক সমালোচিত এস.আই আনোয়ার হোসেন যাকে সবাই ভান্ডারী আনোয়ার বলেই চিনে। বিগত সময়েও এ.এস.আই হিসেবে শ্রীবরদীতে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিল। তার নানা কুকীতি ও অপকর্ম কান্ডের অভিযোগে তাকে অন্যত্র বদলী করা হয়। কিন্তু প্রমোশন পেয়েই আবার মধুকুঞ্জ শ্রীবরদীতে মধু সংগ্রহে ছুটে আসেন। এবার হাফ থেকে ফুল দারগা আনোয়ারের দাপটটাই অন্যরকম। ময়মনসিংহ বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা নেত্রকোণার ছেলে হওয়াই চাহিদার কমতি নেই তার। সম্প্রতি শ্রীবরদীতে যোগদান করেই পুলিশের ইমেজ ক্ষুন্ন করে টাকার নেশায় বেপরোয়া মাতাল হয়ে ওঠে আনোয়ার। বিগত সময়ে নকল ২ কীটনাশক ব্যবসায়ীকে আটক করলেও ১ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করলেও অন্যজনকে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে রাতের আধারেই ছেড়ে দেয়। এ নিয়ে পরদিন দৈনিক সমকাল, দৈনিক মানবজমিন, দৈনিক তথ্যধারাসহ অর্ধডজন খবরের কাগজে সংবাদ প্রকাশিত হয়। কিন্তু কে শোনে কার কথা। যিনি এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন তিনিই নিরব কবির ভূমিকায়। তাহলে সাধারন মানুষ বিচারের বাণী নিয়ে কার কাছে গিয়ে দাঁড়াবে। সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে শ্রীবরদী ইউএনও তার ওপর হামলা সরকারি গাড়ি ভাংচুর এর ঘটনায় অব্যহত আসামীদের আসামী করে শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পায় আনোয়ার হোসেন। ফলে নিরহ গ্রামবাসীদের এ মামলার আসামী হিসেবে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে সামারি বাণিজ্য শুরু করেন। তার ভয়ে খামারপাড়া ও গড়খোলা গ্রামের অনেক মানুষ মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে তার হাতে টাকা তুলে দিচ্ছে। আবার অনেকেই তার দাবীকৃত টাকা নিতে পারায় অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে। একাধিক সূত্রের অভিযোগ রয়েছে এস.আই আনোয়ার শ্রীবরদীতে যোগদান করেই স্থানীয় বি.এন.পি জামায়াত কর্মীদের সাথে গোপন কালেকশন করে বিভিন্ন ভাবে লাভবান হচ্ছেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে গান গাওয়ার কারনে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। গত কয়েকদিন আগে তিনি কয়েকটি গাজার আসরে গিয়ে গাজা সেবিদের নিয়ে রাতভর গান বাজনা করেন। তার এ ধরনের অপকর্মকান্ডে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। তেমনি শ্রীবরদী বাসী তার এ ধরনের অপকর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। এক শ্রেণীর দালালদের মাধ্যমে গ্রামের তুচ্ছ ঘটনাকে বৃহৎ করে থানায় অভিযোগ দায়েরের মাধ্যমে গ্রাম্য সহজ সরল মানুষদের হয়রানি করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *