দুদকের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা শেরপুরে ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে জেলার ভারপ্রাপ্ত আনসার কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম হাতিয়ে নিলেন ২ লক্ষ টাকা!
শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুর জেলায় কয়েক ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার ও ভিডিপি সদস্য নিয়োগ প্রদানের নামে শেরপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম তার অধিনস্থ কর্মকর্তা ও দালালদের মাধ্যমে প্রায় ২ লক্ষ টাকা ঘুষ হাতিয়ে নিয়েছেন। বিগত সময়েও এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম দূর্ণীতির অভিযোগ তুলে শেরপুর জেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় জেলার সরকার দলীয় জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি এবং সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সানোয়ার হোসেন সানু নানা অভিযোগ তুলেন। সম্প্রতি গত ২২শে মার্চ শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ হয়। ১১১টি ভোটকেন্দ্রে ১৮৮৭জন আনসার সদস্য নিয়োগ করা হয়। ৩১শে মার্চ শ্রীবরদী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ হয়। ৫৬টি ভোট কেন্দ্রে ৯৫২জন আনসার নিয়োগ করা হয়। একই দিনে শেরপুর সদর উপজেলায় ১টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হয় ৯টি ভোটকেন্দ্রে ১৫৩জন আনসার নিয়োগ করা হয়। একই দিনে নকলা উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৮১টি ভোট কেন্দ্রে ১৩৫৭ জন আনসার নিয়োগ করা হয়। প্রতিটি আনসার নিয়োগের ক্ষেত্রে তিনি জনপ্রতি ১০০ টাকা করে হাতিয়ে নেন। অভিযোগ রয়েছে নালিতাবাড়ীর ভারপ্রাপ্ত আনসার ভিডিপি’র কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াছমিন ও কমান্ডার সওদাগর মিয়া প্রত্যেক আনসারের নিকট থেকে ২০০ টাকা করে হাতিয়ে নেয়। পরে ১০০ টাকা করে জেলা কর্মকর্তাকে প্রদান করেন। নকলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আয়শা বেগম ও কমান্ডার খোরশেদ আনসারদের কাছে টাকা উত্তোলন করেন। শ্রীবরদীতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিসেস আলেয়া আনসার সদস্যদের কাছে এ টাকা উত্তোলন করেন। টাকার বিনিময়ে নির্বাচনী কাজে আনসার নিয়োগ ঘটনায় শেরপুরের সচেতন মহলের মাঝে মিশ্র প্রক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে ঘিরেও জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কয়েক লক্ষ টাকার ভুল বাণিজ্য করবেন বলে একাধিক ভিডিপি সদস্যরা জানিয়েছেন।