ভান্ডারিয়ায় সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় কলা ব্যবসায়ীকে মারধর
ভান্ডারিয়া প্রতিনিধি (অনিক রহমান আব্দুল্লাহ) :পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় গাজীপুরে সুদের টাকা পরিশোধ করিতে না পারায় আব্দুর রহিম নামক এক ব্যক্তিকে হাত, পা বেধে অমানুষিক নির্যাতনের খবর পাওয়া যায়। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নুর মিয়া হাওলাদার এর ছেলে মোঃ আঃ রহিম দীর্ঘদিন যাবত কলা, ডাব, ইত্যাদি ফলজ নিজ ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসছিল। ব্যবসার পুজি বারানোর লক্ষ্যে আঃ রহিম তার প্রতিবেশী মোঃ ইদ্রিছ জোমাদ্দারের কাছ থেকে ২-বছর পূর্বে মাসিক ২০০০/- টাকা হারে নগদ ২০হাজর টাকা গ্রহন করে। তিনি নিয়মিত ভাবে সুদের টাকা পরিশোধ করিয়া আসছিল। কিছুদিন পূর্বে আসল ১৬হাজার টাকা পরিশোধ করিয়া দেয় এবং বাকি ৪হাজার টাকা পরে দেওয়ার জন্য ওয়াদা করে। গত ১১-০৪-২০১৬ তারিখে মোঃ ইদ্রিছ জমাদ্দার তার ওয়াদা না মেনে আনুমানিক রাত ০৮.০০টার সময় তার নের্তৃত্ত্বে মোঃ ইউনুচ জমাদ্দার ৩৫, বাবুল জমাদ্দার ৫০, সর্ব পিতা-মোঃ হোসেন জমাদ্দার, মিলন জমাদ্দার ২২ সহ ১০/১২জন মিলে ইসির বাড়ির সম্মুখ হইতে আব্দুর রহিমকে ধরিয়া নিয়া পার্শ্ববর্তী নদীর পাড়ে হাত, পা বাধিয়া প্রান নাশের উদ্দেশ্যে রাত্র ১১.০০ টা অবদি অমানবিক নির্যাতন করে। এলাকাবাসী ডাকচিৎকার শুনে উক্ত স্থানে হাজির হইলে তারা নাটকীয় ভাবে মটর সাইকেল চোর বলে দাবী করে। পরে ঐ স্থান থেকে আনুমানিক রাত্র ১২.০০টার সময় ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সাযোগে ভান্ডারিয়া বন্দর রিজার্ভ পুকুরের পশ্চিম পাড়ের সড়কে হাত, পা বাধা অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন এসে উদ্ধার করে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসা করানোর জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ভূক্তভোগী সুস্থ হয়ে ২১-০৪-২০১৬ ইং তারিখে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানায় অভিযোগ দেওয়ায় প্রতিপক্ষ ভূক্তভোগীকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করে আসছে। এ অবস্থায় আব্দুর রহিম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন বলে দাবি করেন।