লোহাগড়া নির্বাচন অফিসে চলছে অবৈধ বানিজ্য
লোহাগড়া(নড়াইল)প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়া নির্বাচন অফিসে ঘুষ ছাড়া কাজ হয় না। ভোটার তালিকা যাচাইয়ের জন্য সাময়িক ভাবে ব্যবহারের সনদপত্র আনতে সাধারণ মানুষের গুনতে হচ্ছে ১’শ থেকে ১’শ ২০ টাকা। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সন্তুষ্ট করতে না পারলে মিলছে না এই সনদ পত্র। দিনের পর দিন ঘুরতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের। ফলে হয়রানির শিকার হচ্ছে উপজেলাবাসী।
উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের রায়গ্রামের বাসীন্দা তরিকুল মিনা অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে মো. আরিফুল মিনার ভোটার তালিকা যাচাইয়ের সাময়িক সনদপত্র ১০ এপ্রিল নির্বাচন অফিসে আনতে যাই। অফিসের লোক আমাকে বলে, সনদ নিতে ১শ ২০ টাকা লাগবে। তখন আমি টাকা দিয়ে কাগজ নিয়ে আসি।
একই বিষয়ে উপজেলার চরশামুকখোলা গ্রামের মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. রাকিবুল ইসলাম লিখিত অভিযোগে জানান, আমি ১০ এপ্রিল রবিবার বিকালে ভোটার তালিকা যাচাইয়ের সাময়িক সনদ আনতে যাই। তখন নির্বাচন অফিসের স্টেনোটাইপিষ্ট আতিয়ার রহমান তার অফিস সহকারী সিরাজ এর মাধ্যমে আমার কাছে ১শ ২০ টাকা দাবি করেন। কি জন্য টাকা লাগবে জানতে চাইলে সিরাজ বলেন, এটা গভমেন্ট ফি। আগে টাকা পরিশোধ করেন পরে কাগজ দিচ্ছি। টাকার রশিদ চাইলে আতিয়ার রহমান আমাকে বলে এর জন্য কোন রশিদ হয় না।
এ ব্যাপারে নির্বাচন অফিসের স্টেনোটাইপিষ্টি আতিয়ার রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, নির্বাচন অফিসের খরচের একটা ব্যাপার থাকে। তাই আমরা টাকা নিচ্ছি।
অফিসসহকারী সিরাজ টাকা নেয়ার বিষয়ে স্বীকার করে বলেন, আমরা আগামীতে আর নেব না।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন অফিসার শামীম মাহামুদ বলেন, টাকা নেওয়ার কোন নিয়ম নেই, তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।