মতলব উত্তরে প্রবাসীর ঘরে দুর্ধর্ষ ডাকাতি
ইসমাইল খান টিটু : চাঁদপুরের মতলব উত্তরে বাগান বাড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ মান্দারতলী গ্রামের প্রবাসী রফিকুল ইসলামের ঘরে সিঁদ কেটে প্রবেশ করে ডাকাতি করেছে দুর্বিত্তরা। গত শুক্রবার (৮ মাচ) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতিকালে রফিকের স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে হত্যা করারও চেষ্টা করে ডাকাত দল। শনিবার সকালে ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সিরাজুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম ও সফিকুল ইসলাম তিন ভাই একই গ্রামের রাজ্জাক মাস্টার গংদের কাছ থেকে ১৮ শতক জায়গা বাজার দরে ক্রয় করেছেন। তাদের পাশের বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে আবুল খায়ের ও মাহফুজ মিয়া একপাশ দিয়ে নিজেদের জায়গা দাবী করে। এ নিয়ে তাদের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। বর্তমানে রফিকুল ইসলাম গংরা ওই জায়গা দখলে রয়েছেন। সীমানা প্রাচীর করতে গেলে শুক্রবার তাদের সাথে ঝগড়া-বিবাদ হয়। ওই দিন রাতেই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ফাতেমা বেগম বলেন, আমি নিয়মিত সময়ে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ঘুমিয়ে থাকি। রাত প্রায় দেড়টার সময় তারা সিঁদ কেটে ঘরে প্রবেশ করে আলমিরা ও ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করা শুরু করে। বিকট শব্দ শুনে ঘুম ভাঙ্গে আমার। এসময় আমাকে আবুল খায়ের গলায় ধারাল ছুটি ধরে বলে চিৎকার করলে হত্যা করে ফেলবো। ভয়ে আমি ডাক-চিৎকার দেইনি। ডাকাতি করে আবুল খায়ের ও মাহফুজ পালিয়ে যায়। তারা আমার ঘর থেকে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা ও ২ ভরি ৮ আনি ওজনের স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে। বিষয়টি আমি রাতেই এলাকাবাসীকে জানাই এবং সকালে থানায় অভিযোগ করি।
পাশের বাড়ির আমান উল্লা বলেন, রফিকের স্ত্রীর ডাক-চিৎকার শুনে এসে কাউকে দেখিনি তবে ঘরের পিরায় সিঁদ কাটা ও আসবাবপত্র ভাংচুর। ফাতেমা বলেছে, আবুল খায়ের ও মাহফুজ মিয়া তার ঘরে ডাকাতি করেছে। শনিবার বিকেলে মতলব উত্তর থানার এসআই মো. কামাল হোসেন (পিপিএম) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে আবুল খায়ের ও মাহফুজ মিয়ার সাথে কথা বলার জন্য বাড়িতে গেলে তাদেরকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে আবুল খায়ের বলেন, আমরা এ ঘটনার সাথে জড়িত নেই। সব মিথ্যা। তাদের সাথে আমাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে।