“ রূপসা ঘাটের টোলঘরে এ কি হচ্ছ ’’ এর কি কোন প্রতিকার নেই?
মোঃ জিয়া শরীফ মোরেলগঞ্জ, বাগেরহাট: আমি নিজেই ভূক্তভোগী, গত ২০ ফেব্রুয়ারী/২০১৬ দুপুর আনু: ১টা ৪৫ মিনিট। আমি খুলনা জলিল টাওয়ার দিয়ে প্রিন্টারের ২টি কাটিস ও ১টি ব্যানার হাতে নিয়ে বাড়ীর উদ্যোশে রওনা হই। ইজি-বাইকে করে রূপসা ঘাটে আসি। টোলঘরে আসা মাত্রই দেখতে পাই একজন বৃদ্ধ লোককে টোল আদায়কারীরা তার জামার কলাট ধরে ধাক্কা দিয়ে তাদের পাশে দাড়াতে বললেন। কারন বৃদ্ধ লোকটির কাছে ছিল ২টি ব্যাগ আর ঐ ২টি ব্যাগের জন্য তাকে ৬০ টাকা দিয়ে পার হতে হবে নাহয় তাকে যেতে দিবে না মর্মে বলেন। এ নিয়ে আদায়কারীদের সঙ্গে মিনিট দশেক তাকে বাকবিতণ্ডা করতে দেখা গেল। ইহা দেখা সত্বেও আমি ২টাকা হাতে বের করে পার হওয়ার উদ্যেশে চলি কিন্তু তাদের বাধা। দায়কারীরা বলে আপনার হাতে কি প্রিন্টার? আমি উত্তরে বলি না ভাই প্রিন্টারের কালি/কাটিস। আদায়কারীরা বলে যাই হোক আপনাকে ওর জন্য ৪০ টাকা দিতে হবে। আমি বললাম ভাই আমার হাতে ৫কেজিরও মাল নেই ইহাতে আপনাদের ৪০ টাকা দিতে হবে। তারা বললেন জিঁ দিতে হবে। শেষ পর্যন্ত তাদেরকে আমি১০ টাকা নেওয়ার জন্য বলি। কিন্তু তারা বলেন না আপনার নদীর ওপাড়ে যেতে হলে ৪০ টাকা দিয়েই যেতে হবে। তখন মনটা খুব খারাপ লাগলো কারন জলিল টাওয়ারের ওখান দিয়ে যদি আমি সোনাডাংগার গাড়িতে যেতাম তা হলে আরো আগে বাড়ী যেতে পারতাম। যাই হোক ক্ষিপ্তহয়ে আবার আমি সোনাডাংগার উদ্যোশে ইজি-বাইকে উঠি এবং সোনাডাংগা টু বাগেরহাটের গাড়ীতে বাড়ীতে আসি। কিন্তু বিষয়টি মাথা থেকে এখনও যায় নি ভাবছি সাধারণ মানুষের প্রতিনিয়ত কি দূর্ভোগ পোয়াতে হচ্ছে। রূপসা ঘাট পার হতে গিয়ে প্রতিদিন হয়রানির শিকার হন শত শত মানুষ। বিশেষ করে মানুষের সঙ্গে কোনো পণ্য থাকলে তার আর দুর্ভোগের সীমা থাকে না। অনেকে মানসম্মানের ভয়ে টাকা দিয়েও নানা বাজে কথা শোনেন। কিন্তু এর কি কোন প্রতিকার নেই। যদি আমার এই পোষ্ট আপনারা পড়ে থাকেন শেয়ার করে জানিয়ে দিন সকলকে যদি কর্তৃপক্ষের কোন দৃষ্টি পড়ে তা হলে যদি কোন প্রতিকার পাওয়া যায়।
মোরেলগঞ্জ, বাগেরহাট।