অপরের সেলাই মেশিন চালিয়ে অনার্স পড়ছেন রানা আহম্মেদ !

Rana-Bankira-Picture
ষ্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহ : মেধা থাকলে কি হবে ? অর্থের অভাবে রানা আহম্মেদের লেখাপড়া বন্ধ হতে চলেছে। অপরের ধার করা সেলাই মেশিন চালিয়ে অবসরে যে টাকা আয় হয়, তাই দিয়ে চলে রানার অনার্স পড়ার খরচ। রানার বাবা আব্দুল হালিম ওরফে ট্যাংরা পেশায় ঝিনাইদহের সাধুহাটী ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম পুলিশের চাকরী করেন। অনার্স পড়ুয়া ছেলে রানা ছাড়াও রানী নামে তাদের ঘরে আরেকটি সন্তান আছে। রানী সদর উপজেলার বংকিরা হাই স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী। তাদের বাড়িও সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামে। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম মনসাদ জানান, গ্রাম পুলিশের চাকরী করে আব্দুল হালিমের সংসার চলে না। তার উপর দুই সন্তানের পেড়ালেখার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। রানা আহম্মেদ শৈলকুপার শেখপাড়া ডিএম কলেজে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে অনার্স পড়ছেন। প্রথম বর্ষে তার রোল নং ৫। রানা আহম্মেদ জানান, প্রতিবেশি দারুলের স্ত্রী পারভিনা খাতুনের সেলাই মেশিন ধার করে তিনি কাপড় সেলাই করেন। তিনি নিজেই কাপড় কাটেন এবং নিজেই সেলাই করেন। তার কাজে বোন রানী ও মা রিনা খাতুন সাহায্য করেন। এ ভাবে যে টাকা আয় হয় তা দিয়ে চলে তার পড়ালেখার খরচ। টাকার অভাবে তিনি ঠিকমতো কলেজেও যেতে পারেন না বলে রানা জানান। একটি বা দুইটি সেলাই মেশিন কেও দান করলে রানা ও তার বোন রানীর পড়ালেখার খরচ চলতো বলে জানান রানার মা রিনা খাতুন। রানার সাথে কোন সহৃদয়বান দানশীল ব্যক্তি কথা বলতে চাইলে ০১৭৬৪০৫৭১৮৭ নাম্বারে কথা বলতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *