বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের বিরুদ্ধে যাত্রীর ৪২ হাজার টাকা আত্মসার্ত চেষ্টার অভিযোগ
বেনাপোল(যশোর): যশোরের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের বিরুদ্ধে এক বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রীর ৪২ হাজার টাকা ভারতে পার করে দেওয়া নাম করে আত্মসার্ত চেষ্ঠার অভিযোগ উঠেছে। পরে ওই যাত্রী টাকা না পেয়ে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানালে তারা বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবির সহযোগীতায় পুলিশের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করে দেয়। এনিয়ে এলাকায় তোলপাড় চললেও অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ইমিগ্রেশন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) কর্মস্থলে থাকলেও তিনি কিছুই জানেনা বলে জানায়।
জানা যায়, বাগেরহাট সদর এলাকার মৃত মুনসুর আলীর ছেলে আবুবক্কর(৭০) পাসপোর্ট নাম্বার-নব-০৯৭৩৬৫৯)জমি বিক্রী করে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ভারতে যাওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে আসে। এসময় ইমিগ্রেশন পুলিশ সিপাই ওবায়দুর ১শ টাকার বিনিময়ে পাসপোর্টে ছিল করার কথা বলে যাত্রীর কাছ থেকে পাসপোর্ট নেয়। পরে তার কাছে টাকা পয়সা কত আছে জিজ্ঞাসা করে। এক পর্যায়ে যাত্রী তার কাছে ৪২ হাজার টাকা আছে জানালে পুলিশ তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে একটি সাদা কাগজে তার বোমাইল নাম্বার দিয়ে বলে ভারতে যাওয়ার পর একটি ঘর থেকে এই টাকা পেয়ে যাবেন। যাত্রী পুলিশকে বিশ্বাস করে ভারতে গিয়ে নিদিষ্ট ঠিকানায় অপেক্ষা করে। কিন্তু দির্ঘক্ষন অপেক্ষা করার পরও টাকা পায়নি। অবশেষে বিকালে তিনি ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে অভিযোগ করে। পরে ইমিগ্রেশন পুলিশ ওই যাত্রীকে সাথে নিয়ে ২৬ ব্যাটালিয়নের বেনাপোল চেকপোস্ট আইসিপি বিজিবি ক্যাম্পে আসে। যাত্রীর মুখ থেকে অভিযোগ শুনে বিজিবি অভিযুক্ত ইমিগ্রেশন পুলিশ সদস্যকে ডাকায়। প্রথমে পুলিশ টাকার বিষয়টি অস্বিকার গেলেও পরে স্বিকার করতে বাধ্য হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ নোম্যান্সল্যান্ডে গিয়ে প্রকাশ্যে বিভিন্ন সংস্থার সামনে যাত্রীর কাছ থেকে নেওয়া ৪২ হাজার টাকা নিজ হাতে ফেরত দেয়।
বেনাপোল চেকপোস্ট আইসিপি ক্যাম্পের সুবেদার আব্দুল্লা হিল ওয়াফি পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে যাত্রীর টাকা উদ্ধারের সত্যতা স্বিকার করেছেন। তবে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন,এবিষয়ে তার কিছু জানা নেই।