ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মংলা অথনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মনির হোসেন, মংলা (বাগেরহাট) : ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘মংলা অথনৈতিক অঞ্চল’র উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ২৮ ফেব্রুয়ারী রবিবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে ভিডিও কনফারেন্সে’র মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মংলাসহ ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের উদ্বোধন করেন।
মংলা বন্দরের পশুর চ্যানেল সংলগ্ন মংলা নদীর তীরে প্রায় ২শ ৫ একর জমির উপর ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে ‘মংলা অর্থনৈতিক অঞ্চল’র উন্নয়ন কাজ। এ বিশেষ এ অঞ্চলের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে মংলা অর্থনৈতিক অঞ্চলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট-৩ ( মংলা-রামপাল ) এর সংসদ সদস্য আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক। বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের মেম্বর (অপারেশন) মোঃ আলতাফ হোসেন, বেজার প্রকল্প পরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমান, পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনার পরিচালক মল্লিক আনোয়ার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ নিজাম উদ্দিন, শিকদার গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট বি এম কামাল হোসেন, ওজোপডিকোর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শফিক উদ্দিন, উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হ্ওালাদার, উপজেলা নির্বাহি অফিসার মুহাম্মদ আলী প্রিন্স, মংলা কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ গোলাম সরোয়ার, মংলা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ লুৎফর রহমান প্রমূখ। এছাড়া মংলা বন্দর ব্যবহারকারী, বিনিয়োগকারীসহ রাজনৈতিকবৃন্দ।ঞ্চ ঞ্চ ঞ্চ ঞ্চ
দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মংলা ও বন্দর সংলগ্ন মংলা ইপিজেডের পাশেই ‘মংলা অর্থনৈতিক অঞ্চল’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে মংলা অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্মাণ কাজ। ইতিমধ্যে ৪০% নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বাকী কাজ চলতি বছরের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। বর্তমানে এখানে প্রায় ৩৮ কোটি টাকা ব্যয়েঞ্চ এ্যাডমিনিস্ট্রিশন বিল্ডিং, বাউন্ডারি ্ওয়াল, এ্যাপ্রোচ রোড, ব্রীজ, বিদ্যুতের ৩৩/১১ কেভি রিসিভিং সাব ষ্টেশন নির্মাণের কাজ চলছে। মংলা অর্থনৈতিক অঞ্চলে অন্তত ২৫ হাজার শ্রমিক-কর্মচারি-কর্মকর্তার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে বেজা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। প্রথম বারের মতো সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে নির্মাণাধীন এই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়ন ্ও রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্বে থাকবে পাওয়ার প্যাক ইকোনমিক জোন লিঃ। পাওয়ার প্যাক আগামী ৫০ বছর এই অর্থনৈতিক জোনের রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করবেন। মংলা অর্থনৈতিক অঞ্চল খুলনা বিভাগীয় শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার, রামপালের ফয়লায় নির্মাণাধীন খানজাহান আলী বিমান বন্দর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার, যশোর বিমান বন্দর থেকে ১০৫ কিলোমিটার এবং ঢাকা শহর থেকে ২৩০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। অবশ্য পদ্মাসেতু নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হলে ঢাকার দূরত্ব আরো অনেক কমে যাবে। তখন আরো বেশি কর্মচঞ্চল হয়ে উঠবে মংলা বন্দর, ইপিজেড ও অর্থনৈতিক অঞ্চল। ২০১৮ সালের মধ্যে মংলা অর্থনৈতিক অঞ্চল পূর্ণাঙ্গভাবে নির্মাণ কাজ শেষ হবে। ২০১৬ সাল থেকেই প্লট বরাদ্দের কাজ শুরু হবে। পোশাক শিল্প, পাট, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, শিপ ইয়ার্ড নির্মাণ ইত্যাদি শিল্পকে মংলা অর্থনৈতিক অঞ্চলে অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মংলা অর্থনৈতিক অঞ্চল’র প্রকল্প পরিচালক মো: হাবিবুর রহমান।