তোপের মুখে আতাতকারী সৈয়দপুর পৌর আওয়ামীলীগের প্রথম সারির নেতারা যে কোন মুহুর্তে সংঘাত

logo-awami-lig
মোঃ মোতালেব হোসেন, নীলফামারী অফিস : গত ৩০শে ডিসেম্বর সৈয়দপুর পৌরসভা নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার ৩ মাস আগে ১০ই সেপ্টেম্বর সংঘঠিত হয়েছিল পৌর আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। এ দলের তৃনমূলের নেতা কর্মীদের ভোটাভুটির মাধ্যমে নির্বাচিত হয় সাধারণ সম্পাদক এবং বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় সভাপতি নির্বাচিত হয়। সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরের দিন থেকেই ত্যাগী নেতাকর্মীদের তোপের মুখে থাকে সাধারণ সম্পাদক। কারণ সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলের আগের রাতে একটি প্রভাবসালী সিন্ডিকেট চক্র সাধারণ সম্পাদক পদটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য কালো টাকা দিয়ে প্রভাব বিস্তার করে অপর প্রতিদ্বন্দি অধ্যাপক সাখাওয়াৎ হোসেন খোকনকে হারিয়ে মোজাম্মেল হককে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেন এবং কয়েকদিন পর সরকার পৌর নির্বাচনের তফশীল ঘোষণা করলে উক্ত সিন্ডিকেট চক্র তরিঘরি করে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সিন্ডিকেট চক্রের দলের নেতা একজন স্থানীয় রেল শ্রমিক লীগ নেতা এরা তিন জন মিলে ৬৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি কার্যনির্বাহী কমিটি জেলায় জমা দেন এবং সেটি পাশ হওয়ার পর দেখা যায় যে, ভোটে প্রতিদ্বন্দি সাধারণ সম্পাদক খোকনের সঙ্গে থাকা ত্যাগী ও সাবেক যুবলীগ ছাত্রলীগ নেতারা দলের জন্য যারা নিবেদিত প্রাণ তাদের নাম কমিটিতে নাই। উক্ত কমিটিতে স্থান পেয়েছে সৈয়দপুরের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, চিহ্নিত চোরাকারবাড়ী, চিহ্নিত লোহা চোর, জামাত পরিবারের সন্তান এবং কারো কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে সুবিধা ভোগী লোকদেরকে ওই কমিটিতে স্থান করে দেওয়া হয়েছে এমন কি আওয়ামীলীগের প্রাথমিক সদস্য পদ যাদের নাই তারাও উক্ত কমিটিতে স্থান পেয়েছে। সর্বশেষ সিন্ডিকেট চক্রের মূলহোতা রেল শ্রমিক লীগ নেতা সরকারের চাকুরী করেও এবং রেল শ্রমীক অঙ্গনে একটি সম্পাদকীয় পোষ্টে থাকার পরেও আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্রের নিয়ম ভেঙ্গে পৌর আওয়ামীলীগের সদস্য পদ নিয়েছেন। আরো অনেক সদস্য হয়েছেন। গত ৩০ বছরেও আওয়ামীলীগের কোন মিছিল মিটিং আন্দোলন কিংবা কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। তারা সুবিধা ভোগী হিসাবে আওয়ামীলীগের কমিটিতে স্থান পেয়েছে। কার্যনির্বাহী কমিটি প্রকাশ হওয়ার পর তৃণমূলক ত্যাগী নেতাকর্মীরা ক্ষোভে ফুসে উঠে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাইনি। এরই মধ্যে শুরু হয় পৌর নির্বাচনের হাওয়া। পৌর নির্বাচনে হেরে যাওয়া সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সাখাওয়াৎ হোসেন খোকন নৌকা প্রতীক পেলে আবারও উজ্জীবিত হয় খোকন গ্র“পের সঙ্গে থাকা নেতা কর্মীরা অবশেষে সিন্ডিকেট চক্রের মূল হোতা ও আওয়ামীলীগের প্রথম সারির নেতারা দলীয় নির্বাচন করলেও গোপন চক্রান্তে লিপ্ত থাকে এবং প্রতি হিংসার বসভূত হয়ে নির্বাচনে গোপনে দলের বিপক্ষে কোটি টাকা লেনদেনের বিনিময়ে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন যা প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থী নিজ মুখে প্রকাশ করেন। সরেজমিনে একাধিক নেতা কর্মীর অভিযোগ প্রেক্ষিতে জানা যায় চক্রান্তকারী নেতাদের মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছেন পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব মোজাম্মেল হক, সভাপতি জবাইদুল হক সরকার, শ্রমীকলীগ নেতা মোকছেদুল মোমিনসহ আরও বেশ কয়েকজন নাম নেতাকর্মীরা একবারেই প্রকাশ্যেই বলাবলী করছেন। এ নিয়ে আওয়ামীলীগ অফিসে দুপক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত দুই দিন আগে উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যকারী কমিটির একজন হিন্দু সদস্য কার্তিক চন্দ্র কে পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি তাকে অফিস থেকে অপমান করে বের করেদেন। এর একদিন আগে পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকও উক্ত নেতাকে পাটি অফিসে লাঞ্চিত করেন। এব্যাপারে কার্তিক চন্দ্রের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন আমি হিন্দু, খোকন প্রফেসারের নৌকার ভোট করেছি বলে আমাকে তারা দুর্বল ভেবে অপমান, লাঞ্চিত ও মারডাং এর হুমকি দিচ্ছে। অপর পক্ষে খোকন প্রফেসারের লোকদের সঙ্গে কথা বললে তার বলেন আমরা এর সমুচিত জবাব দিব। ফলে যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের একটি মারামারির আশংকা রয়েছে পাশাপাশি নেতারা রয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীদের তোপের মুখে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *