কেবীনে আটকে রেখে যুবক যুবতীকে নির্যাতন চাঁদপুর যাত্রীবাহি লঞ্চ থেকে পিস্তলসহ আটক ৫
মোঃ মোখতার হোসেন : চাঁদপুর লঞ্চঘাটে পারাবত-১৪ যাত্রীাবহি লঞ্চে অভিযান চালিয়ে একটি পিস্তল, দুইটি বুলেট, বিদেশী মদ ও গাঁজাসহ ৫ জনকে আটক করেছে। নৌ-পুলিশ কেবিনে আটকে রেখে যুবক যুবতীকে নির্যাতনের খবর পেয়ে গত রোববার রাত ১২ টায় পুলিশ তাদেরকে আটক করে। নির্যাতিতদের উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ বাদী হয়ে আটককৃত মাদারীপুরের সমিতির হেটের আতাহার মোল্লার ছেলে সুজন (২০), তার মা বুলবুলী বেগম (৫০), ঢাকা জুরাইনের মফিজের ছেলে রজব (১৯), আতিকুল্লার ছেলে ইমরান (২০) ও হারুনের ছেলে সাব্বির (১৮) কে আসামী করে মামলা দায়ের করছে। জানাযায় ঢাকা জিনজিরার ওমর ফারুকের স্ত্রী দিনা বেগম (২৯) তার পরক্রিয়া প্রেমিক মাদারিপুর হোগলা পাতিয়া গ্রামের দুলাল চকিদারের ছেলে মোঃ সহেল তানভীর (২৬) এর সাথে ঢাকা থেকে মাদারীপুরের উদ্দেশ্যে পারাবাত-১৪ লঞ্চে উঠে লঞ্চ ঢকা থেকে রাত সাড়ে ৮ ছাড়ার পর ঐ যুবক যুবতী লঞ্চের দ্বিতীয় তলায় ৩৩৭ নম্বর ষ্টাপ কেবীন ভাড়া নিয়ে অবস্থান করেন। এই সময় লঞ্চে থাকা চার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাদেরকে দেখতে পেয়ে পিছু নেয়। লঞ্চ ছাড়ার ১ ঘন্টা পর চার সন্ত্রাসী সেই কেবিনে প্রবেশ করে। নিজেদের ডিবি-পুলিশের পরিচয় দিয়ে পরকিয়া প্রেমিক সহেল তানভীরকে বের করে ৩ তলায় সন্ত্রাসিদের ৩৩২ নম্বর কেবিনে আটকিয়ে রাখেন এই সময় যুবক যুবতীর সাথে থাকা মোবাইল সহ নগত টাকা চিনে নেয়। তারপর থেকে শুরু হয় তাদের উপর অমানবীক নির্যাতন। ৩য় তলার হকগোল দেখে মাষ্টার এনায়েত উদ্দিন এসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সন্ত্রাসীরা তাকে যানায় চাচাতো বোনকে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে তাই তাদের আটক করছে। এর কিছুক্ষণ পর মাষ্টার ও তৃতীয় তলার যাত্রীরা নির্যাতনের খবর জানতে পেরে চাঁদপুর নৌ-পুলিশ ও ডিবি-পুলিশকে অবহিত করেন। নৌ-পুলিশ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম নুরুজ্জামান ও নৌ-পড়ির ইন্সার মোশারফ হোসেন এএসআই ফারুক সঙ্গি ফৌরনিয়ে নৌটারমিনালে অবস্থান করেন। ঢাকা থেকে মাদারীপুর গামী পারাবত-১৪ লঞ্চটি নৌ-পুলিশের নির্দেশে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে এসে থামে। পরে নৌ-পুলিশ লঞ্চে তল্লাশি চালিয়ে ২ তলার ষ্টাপ কেবীন থেকে যুবতী দিনা বেগমকে উদ্ধার করেন। পরে সন্ত্রাসীদের কেবীনে আটকে রাখা যুবক সোহেল তানভীরকে উদ্ধার করে। এই সময় সন্ত্রাসীদের ৩৩২ নম্বর কেবিনটি তল্লাসী চালিয়ে একটি পিস্তল, দুটি বুলেট, বিদেশী মদ ও গাঁজা জব্দ করে। এই সময় চার সন্ত্রাসী এই ঘটনার সাতে জরিত এক মহিলাকে আটক করে নৌ-ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। নৌ-পুলিশ লঞ্চ অভিযান চলাকালিন ডিবির এসআই ফিরোজ আলম, এসআই আহ্সানুজ্জামান লাবু, মডেল থানার এসআই মাসুদ সামীম অনুক সঙ্গী ও ফোঁর্স নিয়ে পারাবত লঞ্চে অভিযান চালায়। তাদেরকে আটক করে নৌ-ফাঁড়িতে নিয়ে আসার পর বেপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে মূল ঘটনা বেরিয়ে আসে। এই ঘটানায় নির্যাতিক যুবক সোহেল তানভীর জানায় লঞ্চে উঠার পর আমাদের কেবিনে ডিবি-পুলিশের পরিচয় দিয়ে প্রবেশ করে আমাদের আটকে রেখে নির্যাতন করেন। এ সময় সাথে থাকা মোবাইল ও নগদ টাকা নিয়ে যায়। পারাবত-১৪ লঞ্চের মাষ্টার এনায়েত জানায় লঞ্চের তৃতীয় তলার যাত্রীদের কয়েকজন বখাটে যুবকের সাথে যাত্রীদের হোডগোল হচ্ছে এমন খবর পেয়ে অবস্থা বেগতিক দেখে চাঁদপুর নৌ-পুলিশকে খবর দেই। এ ব্যাপারে নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএন নুরুজ্জামান জানায় লঞ্চের কেবিনে যাত্রীকে আটকেরেখে নির্যাতন করার খবর পেয়ে পারাবত-১৪ লঞ্চটি চাঁদপুর ঘাটে ভিরানোর জন্য মাষ্টারকে বলা হয়। পরে লঞ্চে অভিযান চালিয়ে একটি পিস্তল, দুটি বুলেট, বিদেশী ও গাঁজা সহ ৫ জন আটক করা হয়েছে।