শাল্লায় চিহ্নিত চোরের গ্রাম কামারগাঁয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে, তাহের গ্রুপের হামলায় হান্নান গ্রুপের নিহত ১ও গুরতর আহত ।
শাল্লা (সুনামগঞ্জ);জেসি বিশ্বাস যতীন :সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার শাল্লা ইউনিয়নের পেশাদারি চোরের গ্রাম কামারগাঁয়ে তাহের গ্রুপের হামলায় হান্নান গ্রুপের ১জন নিহত ও ১জন গুরুতর আহত হয়েছে। এরা হলো মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে জলিল মিয়া (৪৪) নিহত, ও জয়নাল আলীর ছেলে জমির আলী (৬০) নামের এক বৃদ্ধ টেটাবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছে।আজ ৭ জানুয়ারী বেলা ২টায় লাশ নিয়ে আসলে হাসপাতালের পশ্চিম দিকে নিহত ও আহতদের আত্মীয় স্বজনের আহাজারিতে সাধারণ মানুষের হৃদয় কেঁপে ওঠে। এর মধ্যে গুরুতর আহত জমির আলীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে প্রথমিক চিকিৎসা শেষে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৪টায় এ হত্যকান্ডের ঘটনা ঘটে। এব্যপারে নিহত জলিল মিয়ার ভাবি ও গুরুতর আহত জমির আলী সাংবাদিকদের বলেন, ফজরের নামাজের কিছু আগে তাহের, আক্কাস, সোলেয়মান, সাদেক, সানু, রেজাসহ আরো বেশ ক’জন মিলে বন্দুক দিয়া ৭টা গুলি করে আমার ফুঁফাতভাই জলিলকে মারছে। আমার ভাইয়ের চিৎকার শুনে আমি ঘর থাইক্কা বাইর হলে আমাকেও মারধর কইরা গাওয়াইয়া গুরুতর জখম করে। পরে ওরা আমাকে ও জলিলকে গ্রামের পুবদিকে সীমের খালে নিয়ে যায়। সেখানেই আমার ভাইকে হত্যা করে এবং পরে লোয়ার রড ডুকাইছে, দুই পায়ের রগ কাইট্যা আমার ভাইরে মারছে। আমার ভাই জলিলের তিন ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খালিয়াজড়ি উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা বলেন, রাতে বেশ কয়েকবার বন্দুকের গুলাগুলির শব্দ শুনেছি। বুঝছে পারছিলাম সেখানে মারামারি হচ্ছে। এব্যাপারে শাল্লা থানার এসআই আবু তাহের বলেন, খবর শুনে ভোর বেলা আমি এবং ওসি বজলার রহমান সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কামারগাঁও যাই। সেখানে অনেক খোঁজাখুজির পর কামারগাঁও গ্রাম থেকে প্রায় ৫শ’ গজ দূওে মৃত জলিল ও জমির আলীকে গুরুতর আহত অবস্থায় পাওয়া যায় । মৃত জলিল মিয়াকে সুনামগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, কামারগাঁও গ্রামে প্রায়শই এমন সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।