লঞ্চ থেকে ঝাঁপিয়ে বাংলাভিশন সাংবাদিকের আত্মহত্যা

এম এম কামাল : চাঁদপুর-ঢাকা নৌ রুটে চলাচলকারি যাত্রীবাহী লঞ্চ (এমভি তাকওয়া) থেকে ঝাঁপ দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রিপোর্টার আড়ং ওয়াজেদ জয় শাজিদ আহমেদ (৪৩) আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, রবিবার সকাল পৌনে ১১টায় মুক্তারপুর ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে। ঘটনাটি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর নৌ-পুলিশ ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ মোঃ এরশাদ আলম। রাত পৌনে ৮টায় সাজিদের স্ত্রী ও ছোট ভাই চাঁদপুর নৌ-পুলিশ ফাড়িতে এসে অবস্থান নিয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ সুত্রে জানা যায়, রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা নৌ-টার্মিনাল থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি তাকওয়া ছেড়ে আসে। পথি মধ্যে সকাল পৌনে ১১টায় লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জ মুক্তারপুর ব্রিজ পার হওয়ার পর লঞ্চের তৃতীয় তলা থেকে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ঢাকা মেডিকেল রিপোর্টার ও গোয়েন্দা রিপোর্ট পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আড়ং ওয়াজেদ জয় শাজিদ আহমেদ তার সাথে থাকা ২টি মোবাইল সেট, একটি মানিব্যাগ ও মালামাল রেখে লঞ্চ থেকে ঝাঁপ দিয়ে নদীতে পরে।তাৎক্ষনিক লঞ্চ কর্তৃপক্ষ লঞ্চটি ঘটনাস্থলে থামিয়ে ব্যাপক খোজাখুজি ও তল্লাশী করে তাকে উদ্ধার করতে না পেরে দুপুর ১২টায় চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে চলে আসে। দুপুর আড়াইটায় লঞ্চটি চাঁদপুর ঘাটে পৌছার পর লঞ্চের কেরানি লিটন সাজিদের রেখে যাওয়া ২টি মোবাইল, মানিব্যাগ ও মালামাল চাঁদপুর নৌ-পুলিশের দায়িত্বে থাকা এরশাদ আলম কাছে পৌছে দেয়। মানিব্যাগে ২টি পরিচয়পত্র, একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিলো। সে তথ্য মতে জানা যায় তার বাড়ি ঢাকা লালবাগ কামালদা রুটে। সে বর্তমানে ঢাকা চকবাজার এলাকার বাসিন্দা। তার পিতার নাম মৃত নূর মোহাম্মদ, তার স্ত্রী মোরশেদা বেগম নিশি, ছেলে নূর মোহাম্মদ সোহেল (১৫) ও মেয়ে ইসমত আরা সাবা (৮) বাসায় আছে বলে জানা যায়। মুক্তারপুর নৌ-ফাড়ির ইনচার্জ মোঃ ইউনুস জানান, পুলিশ ঘটনার পরপরই নদীতে ডুবুরি নামিয়ে ব্যাপক খোজা খুঁজি ও তল্লাশী চালিয়ে তার সন্ধান পাওয়া যায় নি এবং উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। চাঁদপুর নৌ-পুলিশ সন্ধা ৭টায় জানায়, ঘটনার পর থেকে তারা মুন্সিগঞ্জ নৌ-ফাড়ির সাথে যোগাযোগ অব্যহত রেখেছে। ঘটনার এক ঘন্টা পর নদীতে ডুবরি নামিয়ে ব্যাপক উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয়েছে। সন্ধা ৭টা পর্যন্ত নদীতে ঝাপিয়ে পড়া সাংবাদিক সাজিদের সন্ধান বা লাশ উদ্ধার সম্ভব হয়নি। রাত পৌনে আটটায় তার স্ত্রী ও ছোট ভাই রাজিল আহমেদ চাঁদপুর নৌ-ফাড়িতে এসে তার রেখে যাওয়া মোবাইল ও মালামাল বুঝে নেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *